×

জাতীয়

বিডিএসকে গ্রুপের ৮সদস্য গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:২৬ পিএম

বিডিএসকে গ্রুপের ৮সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি: ভোরের কাগজ

বিডিএসকে গ্রুপের ৮সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি: ভোরের কাগজ

বিডিএসকে গ্রুপের ৮সদস্য গ্রেপ্তার
বিডিএসকে গ্রুপের ৮সদস্য গ্রেপ্তার
বিডিএসকে গ্রুপের ৮সদস্য গ্রেপ্তার

অর্থের বিনিময়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ হাসিলে কাজ করতো গ্রুপটি

ছিনতাই, মাদক, আধিপত্য বিস্তার ও ইফটিজিং ছাড়াও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজ করতো বিডিএসকে গ্রুপ। র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সবুজ বাংলা, টপ টেন ও ভাই-বন্ধু গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে তারা ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং (বিডিএসকে) গ্রুপ খুলে আদাবর, শ্যামলী, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর ও বেরিবাধ এলাকায় ২ বছর ধরে অপরাধমূল কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।

সন্ত্রাসী গ্রুপ বিডিএসকে গ্যাংয়ের প্রধান হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়সহ ৮ জন সদস্যকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানা, র‍্যাব লিগ্যল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমন্ডার খন্দকার আল মঈন। রবিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কমান্ডার মঈন বলেন, চলতি মাসেরব গত ৭ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানাধীন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় একজন ভিকটিমকে জখম করে তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ভিকটিমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। একইভাবে কিছুদিন আগে একই এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও একই কায়দায় ছিনতাইকারীরা মোটা অংকের অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নজরে এলে র‌্যাব উক্ত ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে উল্লেখিত সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। যেখানে দেখা যায় যে, ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে ও জানতে পারে যে, ‘বিডিএসকে গ্রুপের প্রধান হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়ের নেতৃত্বে ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে র‌্যাব এই গ্রুপের সদস্যসহ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের লক্ষে অভিযান পরিচালনা করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাতে ফরিদপুর, রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ স্টেশন, মোহাম্মদপুর বেড়িবাধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিডিএসকে গ্রুপের নেতা শ্রীনাথ মন্ডল ওরফে হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয় (২২), মোঃ রবিন ইসলাম ওরফে এসএমসি রবিন (২০), মোঃ রাসেল ওরফে কালো রাসেল (২৫), মোঃ আলামিন ওরফে ডিশ আলামিন (২১), মোঃ লোমান ওরফে ঘাড় ত্যাড়া লোমান (২১), জেলা-ভোলা, মোঃ আশিক ওরফে হিরো আশিক (১৯), মোঃ জোবায়ের ইসলাম ওরফে চিকনা জোবায়ের (১৯) ও মোঃ সুমন ওরফে বাইট্টা সুমনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরবদেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরে তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৪টি চাকু (বড় ও ছোট), ২টি হাঁসুয়া, ১টি কাঁচি ও ১টি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা ‘বিডিএসকে গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। তাদের দলে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। উক্ত দলের গ্যাং লিডার হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়ের নেতৃত্বে বিগত ২-৩ বছর পূর্বে গ্যাংটি গঠন করা হয়। এই গ্রুপের সদস্যরা আগে সবুজ বাংলা গ্রুপ, টপ টেন গ্রুপ ও ভাই বন্ধু গ্রুপের অন্তর্ভূক্ত ছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পাপার্শ্ববর্তী এলাকায় মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা বর্ণিত এলাকাসমূহে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতো। এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ বর্ণিত এলাকাসমূহে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল।

এই গ্যাং এর সদস্যরা রাস্তাঘাটে ইভটিজিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কার্যক্রমের সাথেও জড়িত। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের অধিকাংশের নামে মাদক, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব মুখপাত্র বলেন,দুই তিন বছর ধরে কাজ করলেও তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা ছত্রছায়ায় থাকার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তারা অর্থের বিনিময়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজ করতো। জিজ্ঞাসাবাদে এমন কয়জনে নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তত চলছে। অভিযোগ সত্য হলে তাদের কেউ আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।সারারাজ

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App