×

সারাদেশ

বগুড়ায় উপনির্বাচন: নির্ঘুম প্রচারণায় প্রার্থীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩০ পিএম

বগুড়ায় উপনির্বাচন: নির্ঘুম প্রচারণায় প্রার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা নির্ঘুম প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। সদরের সবগুলো ওয়ার্ডে প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরাও দিনরাত প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপির ৬ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে ছয়টি আসনের মধ্যে বগুড়ার-৪ ও বগুড়া-৬ আসন শূন্য হয়ে যায়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বগুড়া-৬ সদর আসনে নির্বাচনে ১০ জন প্রার্থী প্রতীক পেয়ে মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।

প্রচারণায় এগিয়ে সরকারি দল সমর্থিত নৌকা মার্কা প্রার্থী। তার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে এক ডজন হেভিওয়েট নেতা সপ্তাহব্যাপী নির্বাচনী জনসভা, মতবিনিময়, গণসংযোগসহ নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। স্বাধীনতাপরবর্তী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বগুড়া সদরে না থাকায় উন্নয়নে কিছুটা ভাটা পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বগুড়ায় এসে নির্বাচনী জনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন তাদের দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হলে বগুড়ার অসমাপ্ত ও প্রতিশ্রুতি দেয়া সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো. নুরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে আব্দুল মান্নান আকন্দ, কুড়াল প্রতীক নিয়ে সরকার বাদল, মশাল প্রতীকে জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইমদাদুল হক ইমদাদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের মো. আফজাল হোসেন, বটগাছ প্রতীকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. নজরুল ইসলাম ও গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আপেল প্রতীকে মুক্তিযোদ্ধা মাছুদুর রহমান হেলাল, একতারা প্রতীকে মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এই আসনে এক সংসদীয় মেয়াদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। জয়ী হওয়ার পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে ২০১৯ সালের জুন মাসে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জিএম সিরাজ জয়ী হন। এরপর ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর এই আসন থেকে জিএম সিরাজ পদত্যাগ করলে তৃতীয়বারের মতো তফশিল ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৬ জন। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে দলীয় প্রতীক মশাল নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল, ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. তাজ উদ্দীন মণ্ডল ও গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. আব্দুর রশিদ সরদার। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীক নিয়ে মাঠ জমাচ্ছেন মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এবং মো. কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল পেয়েছেন কুড়াল প্রতীক। জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন এই আসন থেকে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন আবারো প্রার্থী হলেও বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেনের কাছে পরাজিত হয়ে যান। দুটি উপজেলায় ভোটাররা বলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল একসময় বিএনপি করতেন। বিএনপি থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলায় পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই ভোটের মাঠে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন। অপর প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমেছেন ভোট প্রার্থনা করছেন। সব মিলিয়ে বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ভোটাররা মাতিয়ে আছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App