×

সারাদেশ

চারগুণ টাকা পরিশোধ করেও দুই মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন শহিদুল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম

চারগুণ টাকা পরিশোধ করেও দুই মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন শহিদুল

ছবি: ভোরের কাগজ

মাসিক ৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার চুক্তিতে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন লতিফুল আলম ওরফে শহিদুল। এ টাকায় একটি ইজিবাইক কেনেন শহিদুল। ইজিবাইকটি কিনেও দেন ঋণদাতা। ২০১২ সালের এপ্রিলে টাকাটি হাত বিনিময় হয়। চুক্তি অনুযায়ি গত ৬ বছরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন।

এখন আরো ৮ লাখ টাকা দাবি করছেন পাওনাদার। টাকার দাবিতে ২০১৮ সালে ঝিনাইদহ আদালতে পৃথক দুইটি মামলাও করেন পাওনাদার আনোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ঈশ্বরবা গ্রামের জামতলা পাড়ার মৃত ইসমাইল মোল্লা ওরফে খাদেম মোল্লার ছোট ছেলে।

ঋণগ্রহীতা শহিদুল একজন ইজিবাইক মেকার। সে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ফয়লা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় শহিদুল মামলা থেকে মুক্তি রাজনৈতিক ও সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়ে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

মামলার পর ২০২১ সালের শুরুতে সামাজিক বৈঠকের মাধমে ১ লাখ টাকা ঋণদাতার হাতে তুলে দেন শহিদুল। আরো ২০ হাজার টাকা দিলে মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরতর্তীতে মামলা না তুলে আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় মামলা একখো চলমান। এখন সুষ্ঠু বিচার পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় শহিদুল।

ঋণদাতা আনোয়ার হোসেন জানান, টাকা লেনদেনের বিষয়টি অনেক পুরনো। এখন বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য অনেকবার অনুরোধ করার পরেও তিনি কথা না বলে চলে যান।

আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই মতিয়ার রহমান জানান, দুইজনই আমার কাছের মানুষ। শহিদুল বিষয়টি নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে। আমি ঘটনাটি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত গড়িয়েছে কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। তবে, আমার ভাই আনোয়ার হোসেন শহিদুলের উপর অন্যায় করছে বলে মন্তব্য করেন মতিয়ার। কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সুদভিত্তিক অর্থ লেনদেন অবৈধ। সেটা ব্যক্তি অথবা সংগঠন যাই হোক। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ যদি হেনস্থা বা প্রতারণার শিকার হয় তাহলে আবেদন করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App