আরণ্যকের ৫০বছর পূর্তিতে উৎসবমুখর শিল্পকলা একাডেমি। দলের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে আটদিনের উৎসব। গতকাল রবিবার ছিলো এই উৎসবের তৃতীয় দিন। এদিন সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় আরণ্যকের দর্শকনন্দিত নাটক ‘ময়ূর সিংহাসন’।
প্রয়াত মান্নান হীরা রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন শাহ আলম দুলাল।
বিকেল থেকেই নাট্যানুরাগী দর্শকদের পদচারণায় ভিন্ন এক সৌন্দর্য লক্ষ্যণীয় ছিলো পুরো শিল্পকলা একাডেমিজুড়ে। সন্ধ্যায় টিকেট কাউন্টারে ছিলো দর্শকদের সারিবদ্ধ লাইন। দর্শক কানায় কানায় ভর্তি মিলনায়তনে ‘ময়ূর সিংহাসন’ প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রতিটি সংলাপ আর দৃশ্যে।
সমাজের একটি প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, ক্ষমতার নিকটবর্তী মানুষরাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। কিন্তু দল, ক্ষমতা এসবের বাইরে যে বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেশপ্রেমের অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত রয়েছে ক্ষমতালোভী শাসকরা সেসবের কোন তোয়াক্কা করে না। দেশপ্রেমকে বুকে বেঁধে কত নিভৃত পল্লীতে কত বীর নীরবে শাসকের হাতে নিগৃহীত হয়েছে, আজও হচ্ছে, তার হিসাবও ক্ষমতার মসনদের মানুষেরা রাখেনা। বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকটি নানা কারণে এই ভুখণ্ডের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টাতেই গড়ে ওঠে গণতন্ত্রের দাবি, ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা। আবার একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প তৎকালীন সামরিক শাসক ছড়িয়ে দিয়ে রচনা করেছে কালো অধ্যায়। সেই ভয়ানক আগুনে আজও জ্বলছে মানুষ, জ্বলছে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি। যার ভয়াবহ দায় আজও বহন করতে হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রকে। এসব নিয়েই বিন্যাস্ত হয়েছে নাটকটির কাহিনী।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, তমালিকা কর্মকার, মোমেনা চৌধুরী, আমিন আজাদ, আমানুল হক হেলাল, কামরুল হাসান, দিলু মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।