ইসরায়েলে ইহুদিদের উপাসনালয়ে হামলা, গ্রেপ্তার ৪২

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে ২৬ প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

ময়লা আবর্জনায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে পানছড়ির রাবার ড্যাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ৩:২২ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ৩:২৮ অপরাহ্ণ

শহর সাজাতে দৃষ্টিনন্দন জায়গার তুলনাই নেই। তবে লক্ষ্য করলে দেখা মিলে এমন দৃষ্টি নন্দন জায়গা গুলিই ধারন করে আছে অশোভনীয় আকারে। তেমনি ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে সৌন্দর্য হারাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার রাবার ড্যাম।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সমির দত্ত চাকমা জানান, শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে পানছড়ি সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর এলাকায় চেঙ্গী নদীর বুকে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো রাবার ড্যাম। ফলে একদিকে যেমন কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছিলো অন্যদিকে দর্শনার্থীদের চেহারায় দেখা মিলেছে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ছাপ। ড্যাম চালু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিদন শতশত দর্শনার্থীর ভির ছিলো লক্ষনীয়। অথচ বর্তমানে বিনোদনের স্থানে এসে দেখা মিলছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। রাবার ড্যাম এলাকার পুরো নদী জুড়ে জমে আছে ময়লার ভাগাড়। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এতো আবর্জনার স্তুপ আসছে কোথা থেকে?

ছবি: ভোরের কাগজ

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব বলেন, বাজারের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে চেঙ্গী নদীতে। মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার এ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজার মালিরাই ময়লা ফেলছে নদীতে। এটা বন্ধ করা জরুরি।

শান্তিপুর রাবার ড্যাম রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সত্য নারায়ন চাকমা বলেন, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ হিসেবে নদীকেই অবমূল্যায়ন করছি আমরা। প্রতিনিয়তই চেঙ্গী নদীতে ফেলা হচ্ছে পানছড়ি বাজারের সকল আবর্জনা। আর সেটি উজানে রূপ নিয়ে রাবার ড্যামকে ভাটা হিসেবেই বেছে নিয়েছে। ফলে দূষিত হচ্ছে নদী, সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে এই জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি। গত বছরও ড্যাম এলাকায় দর্শনার্থীর ভিড় ছিলো। এবার পানিতে বাজারের ময়লা আবর্জনা ও মুররির নারিভুরি-মল নদীর পানিকে দুর্গন্ধ করে রেখেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রাবার ড্যামের এমন করুণ অবস্থা দেখে আক্ষেপ শোনা যায় দর্শনার্থী ও রাবার ড্যামবাসীদের মুখে। তাদের দাবি বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার একটি নির্দিষ্ট জায়গা করা হোক। তারা প্রকৃতির এমন করুণ রূপ আর দেখতে চায় না। সুস্থ পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

ছবি: ভোরের কাগজ

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়