রাতের আঁধারে ক্ষেতলাল উপজেলা গাছ কর্তন কমিটির অনুমতি ছাড়াই উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি তিনটি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম পাশে রেইনট্রি কড়ই, ঘোড়া নিম ও তালগাছসহ তিনটি সরকারি গাছ লাগানো ছিল। রাতের আধারে ওই তিনটি গাছ উপজেলা কর্তন কমিটির অনুমতি ছাড়াই কেটে বিক্রি করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান আলী খান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রায়হান আলমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের আঁধারে ওই গাছের কাটা কান্ডগুলো গাড়ি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ও স্থানীয় অভিভাবক মহল দেখতে পেয়ে বাঁধা দেয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও উপজেলা কর্তন কমিটির সভাপতি নুসরাত জাহান বন্যাকে ওই রাতেই মোবাইল ফোনে জানান।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এমরান আলী খান বিদ্যালয়ের তিনটি গাছ বিক্রয় করতে উপজেলা গাছ কর্তন কমিটির অনুমতি নেওয়া হয়নি স্বীকার করে ভোরের কাগজেকে বলেন বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পুকুরে পালাসাইডিং দেয়ার সুবিধার্তে ও শ্রেণি কক্ষের সুরক্ষায় গাছগুলো বিক্রয় করা হয়েছে। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রায়হান আলমের অনুমতি নেয়া হয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রায়হান আলম ভোরের কাগজকে বলেন, গাছগুলো নষ্ট হওয়ায় রাস্তা নির্মাণের স্বার্থে কর্তন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গাছ কর্তন কমিটির সভাপতি নুসরাত জাহান বন্যা বলেন, গাছ কর্তন করার বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে গাছের কাটা কান্ডগুলো সংরক্ষণ করার জন্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।