×

মুক্তচিন্তা

রোহিঙ্গাবাজ নয়া জঙ্গিদের পার্বত্য মিশন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৫ এএম

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে গজানো নতুন জঙ্গি সংগঠনটির ধরন ও কাজের স্টাইল একেবারে আলাদা। এর আগে নানা নামে মাঠে নামা জঙ্গি সংগঠনগুলোর মতো গোটা দেশ নিয়ে জাল ফেলছে না তারা। তাদের টার্গেট গ্রুপ ও এরিয়া সীমিত। কিন্তু লক্ষ্য ব্যাপক। এদের ফলো করা গোয়েন্দাদেরও তা বুঝতে বেশ সময় লেগেছে। শুরুতে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে নতুন বা কেবলই একটি জঙ্গি সংগঠন বলে ধারণা করা হয়েছিল। আর মদতদাতা হিসেবে সন্দেহের তীর ছিল জামায়াতে ইসলামীর দিকে। কিন্তু সংগঠনটির এ পর্যন্ত ধরা পড়া সদস্যদের সবারই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াতের তথ্য বিশ্লেষণ সব ধারণা পাল্টে দিয়েছে। একে একে স্পষ্ট হতে চলেছে এদের রোহিঙ্গা কানেকশন ও বান্দরবান-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটিসহ ওই অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা ঘিরে বিশেষ মিশনের তথ্য। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও দুজন গুলিবিদ্ধের নেপথ্যে যে আরো তথ্য লুকিয়েছিল তা ধারণারও বাইরে। রীতিমতো পিলে চমকানো ঘটনা। ১৮ জানুয়ারি গোলাগুলির সময় ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় থাকা ক্যাম্পে আগুন ও গোলাগুলির পর আরো তথ্য যোগ হতে থাকে। ওই সংঘর্ষে আহত তরুণ মুহিব উল্লাহ যেনতেন রোহিঙ্গা নয়। নিজেকে দাবি করেছে আজাদি নেতা হিসেবে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন এই রোহিঙ্গা একে-৪৭, এম-১৬-সহ নানা অস্ত্র চালনায় দক্ষ বলে জানিয়েছে পুলিশকে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে সীমান্তের ওপারে গিয়েছিল বলেও স্বীকারোক্তি দেয়া মুহিব উল্লাহর সঙ্গী হামিদুল্লাহ নিহত হয়েছে। তারা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন-আরএসও সদস্য। নানান শক্তি ভর করায় প্রকারান্তরে রোহিঙ্গারা এখন কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা উপ-অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই রোহিঙ্গা সংকটের কারণে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ পড়ে গেছে একটি জটিল পরিস্থিতিতে। তার ওপর ক্যাম্প থেকে পালিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। জাল-জালিয়াতিতে নাগরিকত্বের সনদও নিচ্ছে। পাসপোর্ট বানিয়ে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশি প্রবাসী হয়ে। আবার সমুদ্রপথে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে বহু রোহিঙ্গা। মাঝেমধ্যে কিছু ধরা পড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে বা জালিয়াতি করে পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে। পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে ক্যাম্পে ফেরত এসেছে অনেকে। সম্প্রতি ক্যাম্পে এদের পাহারা দিয়ে রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘুম হারাম করে এরা ক্যাম্পে ‘মেহমান’ তুলছে। নিজেরাও ‘মেহমান’ হয়ে যাচ্ছে কোথাও-কোথাও। ক’দিন আগে, উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে টঙ্গীতে বিশ্ব^ ইজতেমায় মুসল্লি সেজে আসার পথে ধরা পড়েছে সাড়ে সাত শয়ের মতো। ধরা পড়েনি বা ইজতেমার নামে কত জন বেরিয়ে গেছে সেই সংখ্যা জানার অবস্থা নেই। ভাষাগত মিল থাকায় পালানোর পর রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের উত্তম এলাকা বৃহত্তর চট্টগ্রাম। একবার ঠিক মতো বেরিয়ে পড়তে পারলে পাহাড়ি এলাকায় মিশে যেতে তেমন সমস্যা হয় না। সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়ার গ্রুপও থাকছে। কেউ ধরিয়ে না দিলে এদের শনাক্ত করা বড় কঠিন। বরং কেউ যেন ধরিয়ে দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করার লোক আছে। এদিকে ক্যাম্পগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যেও এখন নানা গ্রুপ। তাদের নেতা-উপনেতাও আছেন। সব গ্রুপই শক্তিমান। আবার উপদলও আছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে হাত পাকা সবার। শুধু নিজেরা নয়, মাঝেমধ্যে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও সংঘর্ষ করছে ভারি-হালকা-মাঝারি অস্ত্রসজ্জিত হয়ে। এরা একা নয়, গজিয়েছে দেশি-বিদেশি অনেক সহযোগী ও মদতদাতা। এ তালিকা বেশ দীর্ঘ। নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ব্যাপক কার্যক্রম রোহিঙ্গাদের নিয়ে। আশ্রয়শিবিরকে ঘিরে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ তাদের। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির পর অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ধরা পড়েছে শারক্বীয়ার দুই জঙ্গি রণবীর ও বাশার। র‌্যাব বলেছে, রণবীর জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান। আর বাশার বোমাবিশেষজ্ঞ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কী কাজ পড়েছিল শারক্বীয়াদের? এর আগে বান্দরবানের রুমায় দুর্গম পাহাড়ের খাদে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের পরিত্যক্ত গোপন আস্তানা ও একটি কবরের সন্ধান মিলেছে। অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্ব নিহত এক জঙ্গিকে সেখানে কবর বা মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এরপর আস্তানাটি ছেড়ে দেয় তারা। কয়েকজন সেখানে থেকে গেলেও পালিয়ে সিলেট চলে যায় বাকিরা। গ্রেপ্তারকৃত শারক্বীয়ার কয়েক জঙ্গির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে রুমায় গোপন আস্তানা ও কবরের খোঁজ মেলে। তবে প্রায় তিন ফুট গভীর কবর খুঁড়ে দুটি গিলাকাপড় পাওয়া গেছে, তবে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনা কেবল খবর নয়, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় উদ্বেগজনক এবং বেশ এলার্মিং। যা শুধু আলোচনার বিষয় নয়, সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়। এছাড়া কিছুদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার সম্পৃক্ততা ভিন্ন মাত্রা নিয়েছে। ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগরকেন্দ্রিক আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, যোগাযোগ নিয়ে নানা রসায়ন, যা চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। এতে বহু মাত্রিকতার সমীকরণ। কেবল মিয়ানমার-বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিক রাজনীতিরও বহু উপাদান এখানে। এসব উপাদান ও সমীকরণের মাঝে জেএসএস-ইউপিডিএফসহ পার্বত্য এলাকায় বিদ্যমান নানা দল-উপদলের উৎপাত মাঝেমধ্যেই মাথা চাড়া দিচ্ছে। বহুল আকাক্সিক্ষত শান্তি চুক্তিকে মাঠে মেরে দিচ্ছে এরা। তার ওপর এখন ওইসব অঞ্চলকে ঘিরে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে গজানো নতুন জঙ্গি বাহিনীর তৎপরতা। হাল তথ্য বলছে, তিন পার্বত্য জেলার অঞ্চলভেদে জেএসএস এবং ইউপিডিএফের মূল অংশের সাংগঠনিক ভিত্তি কিছুটা দুর্বল হলেও ভেঙে পড়েনি। অস্ত্র বলেও সবল। সেই শক্তিতে মাঝেমধ্যেই প্রয়োজনে পাহাড়ে শান্তি চুক্তির পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার হুঙ্কার দেয়। আবার কেউ কেউ জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রস্তুতি নেয়ার ডাক দেয় উপজাতীয় তরুণদের। সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়ার উসকানি দেয়। বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে উপজাতীয় তরুণ ও কমিউনিটি লিডারদের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার খবরও মেলে। আবার ফিরেও আসে। বান্দরবানে সিক্স মার্ডারসহ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে এদের সম্পৃক্ততার কানাঘুষা আছে। বাংলাদেশ-মিজোরাম সীমান্তে অস্ত্রের চালান আটক নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ হয়েছে। বলা হয়ে থাকে, মিয়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে অস্ত্রগুলোর গন্তব্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম। এসব অস্ত্রের সম্ভাব্য ইউজার কারা? কেবল পাহাড়ি উগ্রবাদী-বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই? জঙ্গিরাও শরিক হচ্ছে নাতো? প্রশ্ন নতুন হলেও শঙ্কা ব্যাপক। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বেরোয়াপনা, তাদের নিয়ে নানা পক্ষের ইন্টারেস্ট ও নতুন জঙ্গিদের অপতৎপরতা প্রশ্নটিকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। তা শুধু মিয়ানমারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে বলে নয়, বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধি, রাখাইনকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগের বিভিন্ন উদ্যোগ, মিয়ানমারের বুড্ডিস্ট স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির উত্থানও ঘটনা। সেই আরাকান আর্মিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা দেয়ার কল্পকাহিনী সাজানো অব্যাহত রয়েছে। এর উদ্দেশ্যও পরিষ্কার। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা এক সময় শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বা বাংলাদেশ-ভারত বিরোধের মধ্যে বিবেচনা করা হতো। সময়ের ব্যবধানে এর ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বেড়েছে। কেবল বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বলেই নয়, এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে, আসিয়ান কমিউনিকেশন্স, চায়নিজ ওবিওআর প্রকল্প ও তার বিরুদ্ধে উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর দিয়েই হবে। অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে এনার্জি হাঙ্গার দেশ চায়না মালাক্কা প্রণালির ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে যে স্ট্রিং অভ পার্লস বা মুক্তার মালা নৌ সিল্ক সংযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তারও গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ভৌগোলিকভাবে ভারত মহাসাগরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আরাকানের অবস্থান। রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পর আরাকানের বিশাল এলাকায় হংকংয়ের মতো শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্র বানানোর মিয়ানমারের স্বপ্নের সারথি হতে উদগ্রীব বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো। সব মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, যোগাযোগ ও কৌশলগত নতুন ভূ-রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চলেছে। সে কারণে স্থানীয় উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল ও মহেশখালী, মাতারবাড়ি, সোনাদিয়া, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিপুল বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাক স্টেপও পার্বত্য চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোর সঙ্গে ট্রানজিট যোগাযোগ, তিনটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। পাহাড়ি সেই বিশাল ভূ-রাজ্যে একদিকে রোহিঙ্গা ছড়িয়ে দেয়া, তাদের সেখানে থিতু করতে কিছু এনজিও এবং জঙ্গিদের কিছু কারসাজির ঘটনা মাঝেমধ্যে আলোচনায় এলেও পরে অন্য ঘটনায় তলিয়ে গেছে। হালে আলোচনাটি আবার সামনে এসেছে নতুন জঙ্গি সংগঠনটির একই সঙ্গে রোহিঙ্গাবাজি ও পার্বত্য এলাকায় মিশন পাতার ঘটনায়। রোহিঙ্গা দরদি সেজে পার্বত্য চট্টগ্রামঘেঁষা কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক বিদেশি সংস্থার অবস্থান, ক্যাম্পে আরসা নামক জঙ্গি সংগঠনের ক্রিয়া-কর্ম পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বার্তা। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়, গভীর বনকে কেবল নিজের প্রশিক্ষণ ও আস্তানার জন্যই বেছে নিয়েছে মনে করা যায় না। এরই মধ্যে তাদের আয়োজন বা ব্যবস্থাপনায় সেখানে রোহিঙ্গারা আশ্রয় গাড়ছে। আরসা বা অন্য জঙ্গিরাও সেই পথ ধরবে? নাকি সেই পথে এরই মধ্যে ঢুকে পড়েছে? র‌্যাবের কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় সেই প্রশ্নকে আরো যৌক্তিক করে তুলেছে। ভয়-শঙ্কা তো জাগাচ্ছেই। মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক ও কলাম লেখক; বার্তা সম্পাদক, বাংলাভিশন। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App