×

সারাদেশ

বাউফলে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম

বাউফলে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন চৌধুরী নামের এক শিক্ষক ডাকযোগে বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার নির্মাণে প্রত্যয়নপত্র দিতে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করেন। এমপিও ছাড়াও উচ্চতর গ্রেডের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে কাগজে স্বাক্ষর করেন। চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিল বিভিন্ন অজুহাতে ফাইল আটকে রাখেন।

নতুন কারিকুলামের উপর মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬৯৬ জন শিক্ষকদের শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা বরাদ্দ আসে। এরমধ্যে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৬ টাকা খরচ হয়। বাকি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪ টাকা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক আত্মসাৎ করেন বলে অভিযাগ ওঠেছে।

প্রশিক্ষনার্থীদর কলম, প্যাড ও ফোল্ডার বাবদ ৯৩ হাজার ৯৬০ টাকা, নাস্তা বাবদ ২৯ হাজার ৯৪ টাকা, প্রশিক্ষণের ভেন্যু ব্যবস্থাপনা বাবদ ৫৫ হাজার, ডাটা এট্রি বাবদ ৬ হাজার এবং সাপোর্ট স্টাফ বাবদ ১৫ হাজার টাকা খরচ না করে শিক্ষা কর্মকর্তা নিজে আত্মসাৎ করেছেন। গত ৩ জানুয়ারি একই অফিসের অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন আহমদ একটি মাদ্রাসার প্রত্যয়নপত্র প্রস্তত করে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের নিকট স্বাক্ষরের জন্য গেলে তিনি টাকা দাবি করেন।

অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসাটি তার গ্রামের বিধায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে কোন টাকা পয়সা চাইত পারি না। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক টাকা ছাড়া প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটিও হয় এবং অফিস সহকারী জালাল উদ্দিনক চাকুরিচ্যুতির হুমকি দেন। এ ব্যপারে অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযাগ দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক ঘুষ ছাড়া কিছু বুঝেন না। ঘুষ না দিল তার কাছ থেকে কোন ফাইল নড়ে না। তার খুঁটির জোর কোথায় তাও আমরা বুঝতে পারি না।

ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, প্রত্যয়নপত্র ও এমপিও ছাড়, উচ্চতর গ্রেড, শিক্ষক এবং কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি কোন টাকা পয়সা নেন না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি এসব মিথ্যা অভিযোগের ব্যাপারে অফিস সহকারী জালাল উদ্দিনকে দায়ী করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন বলেন, বিষয়গুলির ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App