×

জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলা অযৌক্তিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলা অযৌক্তিক

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটা এখন পুরোপুরিই মৃত এবং বহুদিন থেকেই মৃত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারটাকে বিতর্কিত করে নষ্ট করে ফেলেছে বিএনপি। যখন তারা তাদের আজ্ঞাবহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরি করতে গেছে বিচারপতিদের বয়সসীমা বাড়িয়ে পুরো ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করেছে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার সর্বোচ্চ আদালত এবং জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে গেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এর কোনো অর্থ হয় না।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান। এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদু সুলাতানা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপির অন্য কোনো ইস্যু নাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন মানুষ যে অবস্থায় আছে। যে কোনো আগের সময় থেকে তারা এখন ভাল অবস্থায় আছে। এখন একটি বৈশ্বিক সংকট সারা পৃথিবীতে চলছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, মানুষের পেটে ভাত আছে, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ হয়েছি, আমাদের পদ্মা সেতু হয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। হাতে হাতে মানুষের মোবাইল এবং মোবাইল ব্যবহার করে নিজের কত রকমের কাজ করছেন।

দীপু মনি বলেন, যখন বাংলাদেশ মানমর্যাদায় উন্নত হয়েছে, সে সময়ে তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে আছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তাদের যে দুঃশাসন ছিল, তাদের যে ব্যাপক দুর্নীতি ছিল, সেগুলোর কারণে জনগণ তাদেরকে পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছিল। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, যেটিকে দেশে-বিদেশে সর্বত্র সবাই একবাক্যে গ্রহণ করেছিল, সেখানে তারা মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরে আরেকটি আসন পায়। সবচাইতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যারা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়েছিল। তারপর তারা ১৩ ও ১৪ সালে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মেরেছিল, কাজেই তাদের অতীত রেকর্ড খারাপ, এই নিকট অতীতের রেকর্ডও অত্যন্ত খারাপ। অতএব মানুষের কাছে তাদের কোনো স্থান নেই। তারা এখন মরিয়া হয়ে একটি ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছেন। কারণ তারা আর কোনো ইস্যু নিয়ে মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের দেশের সবাই যেন ভালো থাকে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এক সময় দেশের মানুষ না খেয়ে থাকতেন, কিন্তু বর্তমানে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকেন না। প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। নৌকায় ভোট দেওয়াতে দেশের সবক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। ইসলামের দোহাই দিয়ে যারা মিথ্যা বলে তারা ইসলামের সেবক নয়। গুজবে কান না দেওয়ার জন্যে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App