×

জাতীয়

জনস্বার্থ মামলার রায় বাস্তবায়নে অনীহা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৪ এএম

জনস্বার্থ মামলার রায় বাস্তবায়নে অনীহা

ফাইল ছবি

সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকের অধিকার ও আইনের শাসনের ব্যত্যয় হলেই দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এসব মামলায় সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকারভোগী। যার মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আইনি সুরক্ষা দেয়া হয়। এছাড়া সরকারের কোনো সিদ্ধান্তে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হলে জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে তাদের আইনি সুরক্ষা দেয়া যায়। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ এ সংক্রান্ত হাজার হাজার মামলায় সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়নের হার খুবই কম। জনস্বার্থ মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা মনে করেন- স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা, প্রশাসনের অনীহা ও অসহযোগিতাই এসব মামলার রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার অন্তরায়।

বাংলাদেশে জনস্বার্থ মামলার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৯৯৭ সালে মহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ মামলা থেকে জনস্বার্থ মামলার আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়। এই মামলার রায়ে বলা হয়, জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো ঘটনায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনি প্রতিকার চেয়ে জনস্বার্থে মামলা করতে পারেন। মহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ মামলার ঘটনা ছিল- সরকার টাঙ্গাইল জেলায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে। ফলে বনভূমি ধ্বংস, স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি ও বিপুল জনগোষ্ঠী ভূমিহীন হয়ে পড়ে। সেসঙ্গে জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে মহিউদ্দিন ফারুক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এই মামলার পর বাংলাদেশে জনস্বার্থ মামলার দ্বার উন্মোচিত হয়। মূলত, এরপরই জনস্বার্থ মামলা ব্যাপকতা লাভ করে।

সুপ্রিমকোর্ট সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতে বর্তমানে জনস্বার্থে দায়ের করা মামলার সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। নাগরিক সংকট বৃদ্ধি, নিত্যনতুন আইনপ্রণয়ন এবং অধিকার লঙ্ঘনের হার বাড়ায় প্রতিদিন বাড়ছে জনস্বার্থের মামলার সংখ্যা। আদেশ ও রায় দিচ্ছেন হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ। কিন্তু ব্যক্তিগত মামলা না হওয়ায় এসব মামলার নির্দেশ বাস্তবায়নে সরাসরি কেউ তদবির করছে না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে তেমন জোর দেয় না।

কেস স্টাডি : ঢাকায় অব্যাহত বায়ুদূষণ নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি, একই বছরের ২৬ নভেম্বর ও ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি বেশ কিছু নির্দেশনা ছিল হাইকোর্টের। এর মধ্যে ঢাকায় নির্মাণ ও উন্নয়নকাজ চলছে এমন এলাকায় চারপাশ ঘিরে রেখে কাজ করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণকাজ চলছে এমন এলাকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পানি ছিটানো, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে থাকা অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, কালো ধোঁয়া ছড়ায় এমন যানবাহন জব্দের মতো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নির্দেশনা ছিল। আদেশের পর কিছুদিন এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা থাকলেও বাস্তবায়নে সেই গতি আর থাকেনি। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ঢাকা এখন দূষণের শীর্ষে।

চিকিৎসকদের দুর্বোধ্য প্রেসক্রিপশন না লিখতে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি রুল ও নির্দেশনা জারি করেন হাইকোর্ট। অথচ গত সাড়ে তিন বছরেও হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদাসীন চিকিৎসকরা। আগের মতোই দুর্বোধ্য অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লিখে চলেছেন অধিকাংশ চিকিৎসক। যেন এ বিষয়ে কখনো কিছু বলেইনি হাইকোর্ট! ২০০১ সালে ঢাকার ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। অথচ দুই দশক পরও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে দখলদারদের দৌরাত্ম্যে অধিকাংশ ফুটপাথই হাঁটার অনুপযুক্ত। ফুটপাথগুলোতে অবাধে চলছে ব্যবসা। অথচ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যাক্ট অনুযায়ীও রাস্তায় বা জনগণের চলাচলের জায়গায় কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা জনস্বার্থের এক মামলায় হাইকোর্ট সারা দেশে বিভিন্ন যানবাহনে থাকা পরিবেশ দূষণকারী হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ঢাকার পাঁচটি এলাকাসহ সারা

দেশের বিভিন্ন আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার যেসব স্থানে শব্দ দূষণ বেশি হয় সেসব স্থানে পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করে শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ধারণ এবং শব্দ যাতে বেশি না হয় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো সেই রায় বাস্তবায়ন হয়নি। রাস্তায় বের হলেই গাড়ির প্রচণ্ড হর্ণে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে ঢাকনা ছাড়া ট্রাক বা ভ্যান দিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহন বন্ধ এবং রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের পদক্ষেপ নিতে ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলনের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দেয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশনাটি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ঢাকার আশপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু এই চারটি নদীকে রক্ষা করতে নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদে ২০০৯ সালের ২৫ জুন এক আদেশে কয়েক দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদেশে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে সীমানায় পাকা খুঁটি বসানো, নদীর তীরে হাঁটার পথ নির্মাণ, নদীর তীরে বনায়ন ও নদীগুলো খনন করাসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেন আদালত। ভূমি, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, নৌপরিবহন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। হাইকোর্টের এসব নির্দেশনার কয়েকটি আংশিক বাস্তবায়ন হলেও বাকি নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না। চট্টগ্রামের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দিতে ও ভাঙার উদ্দেশে আনা জাহাজ পরিপূর্ণ পরিশোধন করে তীরে আনার জন্য হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। বিগত পাঁচ বছরে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে মারা গেছেন ২৩ শ্রমিক।

রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল মেশানো বন্ধ করতে এবং ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের জনস্বার্থে করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২০ জুন আদালত রায় দেন। এতে প্রতিটি জেলায় ফুড কোর্ট গঠন ও পাবলিক ফুড অ্যানালিস্ট নিয়োগের নির্দেশনাসহ খাদ্যে ভেজাল মেশানো সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার জন্য বলা হয়। হাইকোর্টের এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য দুই বছর সময় দেয়া হলেও এক যুগেও তা আলোর মুখ দেখেনি। একইভাবে জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ ও নদীতে সংযোজিত সব পয়ঃনিষ্কাশন লাইন বন্ধের জন্য ২০১০ সালের জুনে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশ এখনো উপেক্ষিত। এ কারণে দিন দিন বুড়িগঙ্গার পানি বিষে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় খনন সম্পন্ন করতে হাইকোর্টের নির্দেশও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এমনিভাবে কুরবানির বর্জ্য অপসারণ, প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন, গাজীপুরের শালবন রক্ষা, ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ঢাকার বাড়িভাড়া আইনের যথাযথ প্রয়োগ, জলাশয় ভরাট, অপরিকল্পিত আবাসন শিল্প, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা, ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন, পতিতাদের পুনর্বাসন, কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকা জরিপ এবং তা সংরক্ষণের নির্দেশসহ জনস্বার্থের বহু মামলায় হাইকোর্টের দেয়া অসংখ্য নির্দেশ আজো উপেক্ষিত।

মানবাধিকার, নাগরিকের মৌলিক অধিকার, জনগুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উচ্চ আদালত প্রায়ই আদেশ, রায় ও নির্দেশনা দেয়। কিন্তু তা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের অনীহা, উদাসীনতা ও অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক মদতপুষ্ট প্রভাবশালীদের অপতৎপরতা, সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক মানসিকতার ঘাটতি, আমলাতান্ত্রিক তৎপরতা, বাস্তবায়নে বারবার সময় নেয়াকে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন আইনবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা। আইন বিশেষজ্ঞদের অভিমত- গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টরা আন্তরিক হলে নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসত, যা ভবিষ্যতের সুফল বয়ে আনত। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পালন না করা আদালত অবমাননা ও সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞার শামিল হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নজির খুব বেশি নেই। এসব বিষয়ে জোরালো তদারকি ও সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে একটি সেল কিংবা সচিবালয় গঠনের তাগিদ দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল জনস্বার্থ মামলায় আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আর তাদের সহযোগিতা করছেন প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাই জনস্বার্থ মামলার সুফল পেতে হলে এসব দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। তবে আদালত অবমাননার মামলার বিপক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, কাউকে শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, জনস্বার্থ রক্ষার মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করা, আইন প্রণয়ন ও বিধিবিধান তৈরি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এজন্য যখন কোনো আইন জনস্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তখন রাষ্ট্রকেই দায়ী করা হয়। রাষ্ট্রের বাইরে কোনো পক্ষ বা গোষ্ঠীর কারণেও জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই নাগরিকের কল্যাণে জনস্বার্থে মামলাগুলো হয়ে থাকে। জনস্বার্থের কোনো মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে অনেক মানুষের কল্যাণ হয়। তাই রাষ্ট্রের কাছে আমাদের দাবি থাকে, আইনের শাসন যেন জোরদার হয়।

জনস্বার্থে গত ১৮ বছরে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চ আদালতে ৩২০টি মামলা করেছে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ৮৫টি মামলায় জনস্বার্থ রক্ষায় রায় এসেছে। অন্তত ২২০টি জনস্বার্থের মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ এসেছে। তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে, প্রশাসন এবং জনগণ সবাই উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। আমাদের সবাইকে এটি জানতে, বুঝতে ও মানতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকে নিষ্ক্রিয়তা ও নেতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দেন। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় না। তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও আমাদের সবার যেমন দায় আছে, তেমনি বিচার বিভাগেরও দায় রয়েছে। কারণ রায় কিংবা আদেশ বাস্তবায়নে অনেক সময় বিচার বিভাগের দৃঢ় ও কঠোর অবস্থানটা আমরা দেখি না। এই পরিস্থিতিটা কিন্তু দেশের জন্য ইতিবাচক হবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App