×

জাতীয়

গত ৫ বছরে কমেছে ১৫ শতাংশ কৃষক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম

গত ৫ বছরে কমেছে ১৫ শতাংশ কৃষক

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন ও পতিত জমি ব্যবহারে ইউপি সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস)। ছবি: ভোরের কাগজ

কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় না। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিমে পড়তে হয়; পঁচে যায় ৪০ শতাংশ পণ্য। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব ও অদক্ষ কৃষিবাজারের কারণে গত ৫ বছরে দেশে ১৫ শতাংশ কৃষক কমেছে।

‘রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন ও পতিত জমি ব্যবহারে ইউপি সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সভায় এসব কথা বলেন আলোচকরা। বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় সারাদেশ থেকে আসা ইউপি সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

আলোচকরা বলেন, স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী ইউপি সদস্যরা বাড়তি খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কৃষি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার কথা। কিন্তু বাস্তবে ইউপি সদস্যরা শুধু নাগরিকের সনদ দেয়া, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও সরকারি বিভিন্ন সহায়তা (বিধবা, এতিম, গরিব, দুঃস্থ ভাতা) দেয়ার কাজ করছে। ফলে সাংবিধানিক ও আইনানুগ পূর্ণ সুযোগ থাকার পরও তারা রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে বিশেষ করে কৃষিখাতে আবদান রাখতে পাছে না।

তারা আরো বলেন, গত ৫ বছরে ১৫ শতাংশের বেশি কৃষক কমেছে। কৃষকদের রক্ষা করতে হবে। স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ দেয়া, মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা দেয়া দিতে হবে। যেহেতু ইউপি সদস্যরা জনপ্রতিনিধি ও একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেন, তাই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদনে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

বাইসসের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। উন্নত কৃষি পদ্ধতি, আধুনিক প্রক্রিয়করণ, দক্ষ কৃষিবাজার ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার অভাবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন হচ্ছে না। ফলে কৃষি শিল্প দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) আবদান রাখতে পারছে না। প্রায় ৪০ ভাগ কৃষি পণ্য পঁচে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। এর অর্ধেকও যদি রক্ষা করা যেত খাদ্য ঘাটতি যেমন হতো না, বিদেশে রপ্তানি করে ডলার আয় করার সম্ভাবনা তৈরি হতো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে ইউপি সদস্যদের ভূমিকা রাখার জায়গা আছে। ইউপি সদস্যদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।

গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, বাইসস মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বাইসসের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হাসান রকিব আজাদ, সহ-সভাপতি অলক আলী হোসাইন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App