×

জাতীয়

কর্মসাথী মা-স্বপ্না অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম

কর্মসাথী মা-স্বপ্না অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল

ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল। ছবি: ভোরের কাগজ

‘মেয়েরা এখন আর কোনো আপদ না, সম্পদ’

কর্মসাথী মা-স্বপ্না অ্যাওয়ার্ড পেলেন নিখিল ভারত হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি গান্ধীবাদী বিশ্ব মানবতার সেবক ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেওড়াপাড়ার উন্নয়ন সংস্থা মাতৃত্বকালীন ভাতা ও স্বপ্ন প্যাকেজ প্রবর্তনকারী সংগঠন ডরপ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা পদক তুলে দেয়।

নিজের অভিব্যক্তি বর্ণনা করতে গিয়ে ড. সান্যাল বলেন, একটা সময় ভারতবর্ষে মেয়েদের বোঝা, আপদ বলে মনে করা হতো। মেয়ে হলে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হতো। মায়ের গর্ভের সন্তান মেয়ে জানলে তাকে হত্যা করা হতো। এখন মেয়েরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে সংসারে, সমাজে ভূমিকা রাখছে। মেয়েরা এখন আর আপদ না, সম্পদ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি হরিজন সেবক সংঘ ডরপের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবেন বলেও জানান।

এসময় মহাত্মা গান্ধীর দরিদ্রতম ও দুর্বলতম মুখ-ই স্বপ্ন প্যাকেজ মায়েদের মুখ-বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডরপ'র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এএইচএম নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডরপ এর উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ড. হামিদুল হক, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, মেজর জেনারেল (অব) আবু সাঈদ মো. মাসুদ, কবি ও লেখক রোকেয়া ইসলাম প্রমুখ।

ড. আতিউর রহমান বলেন, এই প্রকল্পটি যখন শুরু হয়, তখন ডরপ এর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমাদের অনুমান ভুল ছিল না। এখন মাকে কেন্দ্র করে পরিবার সমাজ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সন্ধান পাচ্ছি। আর উন্নয়নের ভালো দিক হলো অংশীদারত্ব। এনজিওরা একা কিছু করতে পারবে না। বিনিয়োগ দরকার। বাজেট থেকে সরকারের পেনশন কার্যক্রমে দরিদ্র মায়েদের অগ্রাধিকার দেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এএইচএম নোমান বলেন, মা’ই সবচেয়ে বড় অথর্নীতিবিদ, বিজ্ঞানী। তাই মাকে কেন্দ্র করে যে পরিকল্পনা করা হয় তা সমাজকে পরিবর্তন করে।

অতি দরিদ্র মায়েদের মধ্যে গর্ভবতী মায়েদের ভাতা দেয়ার মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে ডরপ। সরকার এই কার্যক্রম গ্রহণ করে। বর্তমানে ১২ লাখ মা ৮০০ টাকা করে ভাতা পায়। শিশু ও মায়েদের অপুষ্টি দূর করতে তাদের ৪ বছর ভাতা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে এই ভাতা ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকায় দেয়ার দাবি করা হয়।

অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী জাতীয় সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে মায়েদের গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীর বিশেষ ভূমিকা আছে। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আবদুস শহীদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App