×

সারাদেশ

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি: এলাকা ধুলোর রাজ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩০ এএম

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি: এলাকা ধুলোর রাজ্য

ছবি: ভোরের কাগজ

সড়ক সংস্কার ধীরগতির কারণে জনভোগান্তি চরমে

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা টু বাঁকা সড়ক সংস্কার ধীরগতির কারণে এলাকা ধুলোর রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনেও সড়কটি সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় জানায়, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। এছাড়া সড়কের পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি, প্রতিদিন ধুলায় ধূসর হয়ে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচলের সময় পথচারী কিংবা অন্য ক্ষুদ্র যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও পথচারীদের চলাচল করতে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে। অন্যদিকে ধুলোর কারণে এ সড়কের দু’ধারে বসবাসকারী গ্রামবাসীর অবস্থাও নাকাল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে বাতাসে ধুলোবালি থাকায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় পথচারীরা শ্বাসকষ্ট, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

১৪ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে সাতক্ষীরা, খুলনা, পাইকগাছা, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকার বাস, মিনিবাস, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবহন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সাতক্ষীরা টু বাঁকা, দরগাপুর সরাসরি মিনিবাস চলু থাকলেও বর্তমানে সড়কের বেহাল দশার কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়কের কুল্যার মোড় থেকে গুণাকরকাটি সড়কটি প্রায় একবছর আগেই সংস্কার করা শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন সড়কটি ডাবলু, বিএম (ইটের “খ” দিয়ে) এর কাজ করে ফেলে রাখার ফলে এলাকা ধুলোর মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে । এই কাজটি করছেন মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানটি ।

এছাড়া গুণাকরকাটি থেকে কাদকাটি পর্যন্ত কাজ শুরু হয় প্রায় ৫মাস আগে। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা বাকি রয়েছে শুধু কার্পেটিং এর কাজ। আর এই কাজটি করছেন মেসার্স ডিজাইন সলিউশন সেন্টার ,ঢাকা নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ডাঃ মো. আব্দুল হাকিম বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে ধুলোবালিতে পথচারীরা শ্বাসকষ্ট, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি দ্রুত সময়ে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি জানান।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমাদের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। ধুলোবালির পরিমাণ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে মেসার্স রাকা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী তপন চক্রবর্তীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। ঢাকা ডিজাইন সলিউশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে কাজটি শেষ করতে একটু দেরি হচ্ছে। এখন দুই কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার এ কাজটিতে আমার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা লস হবে। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আগামী ১৫ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সড়কে আমি আমার অংশের কাজ সম্পন্ন করবো।

আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, বুধহাটা থেকে বাঁকা সড়কের বিষয়ে একাধিকবার আমরা এ দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কুল্যার মোড় থেকে গুণাকরকাটি ঠিকাদার (রাকা এন্টারপ্রাইজ) কথা শুনতে চায়না, আজ না কাল বলে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কের কাজ সম্পূর্ণ না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান ।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ানুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সড়কের কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App