×

জাতীয়

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:১৪ এএম

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ

ফাইল ছবি

সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

টানা চর্তুথবারের মতো ক্ষমতায় থাকার জন্য আগামী নির্বাচনী লড়াইটা খুব সহজ হবে না- এমনটি মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারাও। সেই চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই দলের নির্বাচনী কৌশল ঢেলে সাজিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ওই কৌশলের অংশ হিসেবে আগাম প্রচারণায় নেমেছেন তারা। তৈরি হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী প্রচারণায় সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জনসভায় নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। একই পথে হাঁটছেন দলের শীর্ষ নেতারাও। দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জেলা-উপজেলা-মহানগরের সম্মেলন ও কমিটি গঠনের কাজ প্রায় শেষ। তৃণমূলকে নির্বাচনমুখী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন মেয়াদে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রচারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে (১২ ডিসেম্বর) সংসদ সচিবালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে দলীয় সদস্যদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দলের সংসদ সদস্যদের এখন থেকেই মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বাঁচবে না। দেশবিরোধী শক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সরকারের তিন মেয়াদের উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, খুনির কাছে, দুর্নীতিবাজদের কাছে আমি আমার সোনার দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলার ক্ষমতা মঞ্চ ফিরিয়ে দেব, এটা হবে না। তাই আমি সবাইকে আহ্বান জানাব- গেট রেডি, প্রস্তুত হোন। সামনে নির্বাচন। এদের প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের সফলতা ও উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মগুলোও মানুষের কাছে তুলে ধরবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কৃষিতে বিপ্লব, প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো, নারী উন্নয়নসহ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরবে দলটি। সেইসঙ্গে অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে যে দুর্নীতি করেছে, লুটপাট, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেগুলো মানুষকে বলবে। পাশপাশি বিরোধী দলে গিয়ে আন্দোলনের নামে তারা যে আগুনসন্ত্রাস করেছে, মানুষ খুন করেছে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করেছে- এগুলোও মানুষের কাছে তুলে ধরবে, মানুষকে মনে করিয়ে দেবে।

অন্যদিকে জনগণ থেকে যারা বিচ্ছিন্ন, এলাকায় যায় না, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না, মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সার্ভে হচ্ছে, সার্ভে রিপোর্ট বিবেচনায় নিয়েই দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। যারা দলীয় নির্দেশ অমান্য করে দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না। জনসমর্থন নেই এমন কোনো নেতার হাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে দলের প্রতীক তুলে দেয়া হবে না। দলের সব সংসদ সদস্যকে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এছাড়া এবারের নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে জবাব দিতে বলা হবে। এসব অপপ্রচারের তথ্যভিত্তিক জবাব দিতে বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা কাজ করছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ ভোরের কাগজকে বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখে দেয়া এবং উপযুক্ত জবাব দেয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App