×

জাতীয়

প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা: ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৬ এএম

প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা: ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ভারত একে অপরের অকৃত্রিম বন্ধু। এই সম্পর্ক রক্তের বন্ধনের, এই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা এই সম্পর্কে চির ধরাতে চায়। তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চায়। পাকিস্তানের দোসর হিসেবে আবারো ক্ষমতায় বসতে চায়। এজন্য ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের চির ধরাতে নানা কূটচাল অব্যাহত রেখেছে। তাদের জেনে রাখা ভালো, কোনো কূটচালেই এই সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার নয়। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

পরে ভারতীয় হাইকমিশনারও তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রাশিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ প্রমুখ।

সভার শুরুতে ফুল দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে সংবর্ধনা জানানো হয়। একই সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হওয়ায়, আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই স্পেশাল এবং ইউনিক। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো গভীর হবে। ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সবক্ষেত্রে এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে কাজ চলছে। এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত অন্যতম পার্টনার। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে, পাইপলাইন করে ডিজেল সরবারহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকে ভিসা জটিলতার কথা বলেছেন, সেটি আরো সহজতর করা হবে। সবশেষ বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধির বাংলাদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটবে ভারত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুটি দেশেরই বড় বাধা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। এই বাধা দুই দেশকেই বারবার মোকাবিলা করতে হয়। কারণ দুটি দেশের অনেক মানুষই ধর্মান্ধ। এই ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে উভয়েরই ধর্মপরায়ণ হতে হবে। আমি আশা করি, দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে তৎপর রয়েছে। তারা পাকিস্তানের দোসর হিসেবে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চায়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চায়। এদেশের মানুষ তাদের সেই সুযোগ কখনোই দেবে না বলে বিশ্বাস করি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়। কোনো কূটচালে এই সম্পর্কে যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App