×

অর্থনীতি

ডলার সাশ্রয় করলে সবসময় ভালো ফল পাওয়া যায় না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম

ডলার সাশ্রয় করলে সবসময় ভালো ফল পাওয়া যায় না

ছবি: ভোরের কাগজ

ডলার সাশ্রয়ে আমদানি বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে নন ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম বলেছেন, ডলার সাশ্রয় যে সব সময় যে ভালো রেজাল্ট আনবে, তা নয়। সব ক্ষেত্রে ডলার সাশ্রয় করা যাবে না। ডলার সাশ্রয় করতে গিয়ে কাঁচামাল আমদানি, মেশিনারি আমদানি বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডলার ক্রাইসিস ইস্যুতে আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‌ডলার ক্রাইসিস আতঙ্ক ছড়ানোর মতো কোনো বিষয় নয়। ডলার সাশ্রয়ে ডিউটি বাড়ানো ছাড়া আমাদের হাতে আর কিছু করার নেই। কিছু পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমরা ডিউটি বাড়িয়েছি। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, ফুয়েল ইমপোর্ট করতে হবে। আমরা চাই না ইমপোর্ট বন্ধ হয়ে যাক। ইমপোর্ট বন্ধ করা আমাদের কাজ নয়।

পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য ট্যাক্স এর বোঝা অত দায়ী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবসময় বলা হয়, কাস্টমস ডিউটি-ট্যাক্স কমালেই পণ্যমূল্য কমবে। গ্যাসের ক্ষেত্রে নয়, যে কোন ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখা হয় ডিউটি-ট্যাক্সকে। কিন্তু ইনইফিসিয়েন্সি, সিন্ডিকেট বা অপচয় আছে কিনা, তা দেখতে চায় না কেউ।কিন্তু আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, বর্ধিত পণ্যমূল্যে করের ভার অতটা বেশি পড়ে না। এ সময় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুল্ক আদায়ে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করে এ পেছনে কিছু পণ্যের ইমপোর্ট ডিউটি রেট কমানোকেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সাধারণের কথা বিবেচনায় করে কিছু পণ্যের ডিউটি কমানো হয়েছে। সেজন্যও কাস্টমসের আদায় কমেছে।এছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মন্দার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দিয়েছে এবং এজন্য কাস্টমস খাত থেকে রাজস্ব আদায় কমছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এনবিআর থেকে জানানো হয়, গত ছয় মাসে এনবিআর কাস্টমস ডিউটি আদায় বেড়েছে ৯.২৫%।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিউটি কমানো বাড়ানো ট্যারিফ কমিশন কিংবা বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। অন্য মন্ত্রণালয় কোন প্রস্তাব দিলে তা কেবল তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেয়। কিন্তু এনবিআরকে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং রোধে এনবিআরের কিছু কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ছাড়াও অন্যান্য সংস্থার কাজ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App