×

জাতীয়

শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৫ পিএম

শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

ছবি: ভোরের কাগজ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

ছবি: ভোরের কাগজ

নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্তের নির্দেশ

মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে চুরি করে রাস্তার ধারে থাকা মূল্যবান সরকারি জীবন্ত রেন্ট্রি করাই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

গাছ কর্তনের এ ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধরণী বাড়ি ইউনিয়নের বৈঠকপুর হইতে জানজায়গীরগামী সরকারি সড়কে গাঙ্গারামনালার ওপর নির্মিত ব্রীজের অদূরে । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাটি ফরেস্ট অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গাঙ্গারাম নালার অদূরে সরকারি রাস্তায় পুরাতন একটি রেন্ট্রি করাই গাছ দীর্ঘ দিন ধরে জীবিত অবস্থায় ছিল। অস্বাভাবিক গরমের সময় শত শত পথচারী সেখানে বিশ্রাম নিতো।

গত সোমবার সকালে ঘন কুয়াশার অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে কামাল খামার ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন একাধিক কাঠুরিয়ার সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজনের অজান্তেই হঠাৎ বিশাল আকৃতির  জীবন্ত এ গাছটি কেটে ফেলেন। স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীদের ধারণা অনুযায়ী কর্তনকৃত গাছটির আনুমানিক মূল্য হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা।

[caption id="attachment_401407" align="aligncenter" width="1600"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, মাদ্রাসা শিক্ষক আলতাফ হোসেন তার ছেলেকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে দীর্ঘ সময় ধরে বিশাল আকৃতি গাছটি বিভিন্ন মাপে সেকশন দিয়ে কেটে দ্রুত গাছের গুল দুর্গাপুরের একটি স’মিলে পাঠিয়ে দেন। এরপর ঐ শিক্ষক গাছ চুরির আলামত নিশ্চিহ্ন করতে  গাছের গুড়ি মাটির নিচ থেকে দ্রুত অপসারণ করে ফেলেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী  সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানে  কোন জীবিত গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট  মন্ত্রণালয়ের পূর্বা অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, মৃত ও ঝড়ে উপড়েপড়া সরকারি গাছ সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়া কাটলে তা চুরি হিসেবে গণ্য হবে বলেও জানান।

ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের জান জায়গীর গামী রাস্তার এ রেন্ট্রি করাই গাছটি কাটার ক্ষেত্রে সরকারি কোন নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। স্থানীয় আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি জানান, গাছটি কাটা মাস্টার অন্যায় করেছে, রাস্তার ধারের জমিটি তার জন্য নিজের গাছ মনে করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে গাছ কর্তনকারী মাদ্রাসা শিক্ষক আলতাফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলে গাছ কাটার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এমন রাস্তার ধারের গাছ তো অনেকেই কেটে নিচ্ছে। আমি না হয় একটা গাছ কেটেছি তাতে কি এমন হয়েছে। জীবিত গাছের গুণগুলো কোথায় জানতে চাইলে, তার ছেলে এসব দুর্গাপুরের একটি স’ মিলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ফরেস্ট অফিসারকে (বন কর্মকর্তা) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App