২০১৬ সালে পুরানা পল্টনের হোটেল বন্ধুতে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন অভিযোগে অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিম। তবে জাল টাকা না পেয়ে হোটেলটির ম্যানেজার হাসান মজুমদার ও বাবুর্চি সোহেল রানার কাছে ডিবি পুলিশ তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ডিবি পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে যায়। এরপর ২৫ লাখ জাল টাকা উদ্ধারের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়।

সেই মামলায় মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) অব্যাহতি পেয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে অভিযোগ করেন আসামি হোটেল ম্যানেজার হাসান ও বাবুর্চি সোহেল।

এদিন ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাদের খালাসের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় হাসান ও সোহেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায় শুনে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়ে দুই আসামি বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয় ডিবি পুলিশ।

এদিকে রায়ে নাখোশ রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর মতিঝিল জোনাল টিম ডিবি (পূর্ব) এর পুলিশ পরিদর্শক তপন কুমার ঢালী ফোর্স নিয়ে মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুলস্থ পশ্চিম পাশের গলিতে বিকাল সাড়ে ৪টায় পৌঁছালে পালানোর চেষ্টাকালে হাসান মজুমদার ও সোহেল রানাকে আটক করেন। তাদের দেহ তল্লাশিকালে হাতে থাকা ব্যাগে ২৫ লাখ টাকার জাল টাকা পায়।

ওই ঘটনায় ওইদিনই তিনি মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামিদের ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। মামলাটি তদন্তের পর মতিঝিল জোনাল টিম ডিবি (পূর্ব) এর পুলিশের এসআই দেওয়ান উজ্বল হোসেন ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় আসামিরা ৫ মাস জেলহাজতে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়।