প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩ , ৮:৪৭ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩ , ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
ছবি: ভোরের কাগজ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পত্তি দখল করে পানির সেচ ও নালা (ড্রেন) নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বরিশল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশায় ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম এ অভিযোগ করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে বীল মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম জানানা, পৈত্রিক সম্পত্তি প্রশাসন জোর করে দখল করে পানির সেচ নালা (ড্রেন) নির্মাণ করায় তার ঘর, টিউবয়েল, পুকুর ও মুরগির ফার্ম ধংস করে দিয়েছে প্রশাসন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেছেন। এবং সন্তানদের জেল থেকে মুক্তির দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, ইউপি নির্বাচনে বর্তমান ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনের বিরোধিতা করায় ইউপি সদস্য মোসলেমের নেতৃত্বে ওই বাড়ির উপর থেকে একধরনের জোরপূর্বক ড্রেন নির্মাণ করেন। এতে আমার ১০ শতক জমি ও ৩ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ নষ্ট হবে। আমি তাদের স্থাপনা এড়িয়ে পাশের জমি থেকে ড্রেন নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। এ ঘটনায় অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম ওরফে সত্তার বাদী হয়ে ৩ জানুয়ারি বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করছিলেন। মামলা নং-০৪/২০২৩।
এদিকে, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা জানান, নিয়মানুযায়ী জনস্বার্থে নালাটি উদ্ধারে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করলে আবদুল হালিম পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগত কিছু লোক তাতে বাধা দেন। এ সময় ৯ জনকে আটক করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম সাত্তারের দুই ছেলে নাঈম হাসান (২৬) এবং মাইনুল ইসলামকে (২১) মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন মোবাইল কোর্টে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও নুসরাত ফাতিমা শশী। আটককৃত অপর ৭ জনের বয়স এবং ছাত্রত্ব বিবেচনায় বিকেলে মুচলেকা রেখে চেয়ারম্যান ও তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।