×

জাতীয়

মাঠ প্রশাসনের পাঁচ চ্যালেঞ্জ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৯ এএম

মাঠ প্রশাসনের পাঁচ চ্যালেঞ্জ

ফাইল ছবি

ভোটের বছরে ডিসি সম্মেলন শুরু মঙ্গলবার

নির্বাচনে সহযোগিতা করবে প্রশাসন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সামান্য কয়েকটি দপ্তর বাদে জেলা ও উপজেলার সব ক্ষমতা ডিসি ও ইউএনওদের হাতে। ভোটের বছরে এসে আরো ক্ষমতা চাইছেন তারা। এজন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন সেগুলোর সমাধান চাইছেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে কিছু প্রস্তাব আছে, যেগুলো অন্য দপ্তরের এখতিয়ার। সেগুলোও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে চান ডিসি-ইউএনওরা। তারা চাইছেন, তাদের হাতে থাকা বিপুল ক্ষমতা আরো নিরঙ্কুশ করতে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ডিসি সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত করা কার্যপত্রে ২৪৫টি প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ভোটের বছরে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সবকিছুতে সর্বেসর্বা থাকার পরও ডিসিরা মাঠ প্রশাসনে কাজ করতে গিয়ে মোটাদাগে অন্তত ৫ ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়েন বলে জানিয়েছেন। সেই চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে তারা কথা বলবেন এবারের সম্মেলনে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাঠ প্রশাসনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব, ভোটের বছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকঠাক রাখা, স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ধর্মীয় ও সাইবার অপপ্রচার রোধ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন মসৃণ করা- এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরো ক্ষমতা চান ডিসিরা। তবে ডিসিদের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের করবি হলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তিন দিনের এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বক্তব্যের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনের উদ্ভাবন, সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদেরও বক্তব্য থাকবে। সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘মুক্ত আলোচনা’।

এ পর্বে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরে থাকেন সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে নানা ধরনের রাজনৈতিক চাপসহ বিভিন্ন বাধাবিপত্তির কথা। এসব শুনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেবেন ডিসিরা।

সন্ধ্যায় বিআইসিসিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও কার্য-অধিবেশনে অংশ নেবেন ডিসিরা। কার্য-অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন।

মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নিয়ে তিন দিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার। ডিসি সম্মেলনকে সামনে রেখে এবার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৪৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ উপলক্ষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর গত বছর ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি ডিসি সম্মেলন হয়েছিল। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তবে এবার সরাসরি উপস্থিত হয়ে ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের মতো এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের সম্মেলন তিন দিনব্যাপী হবে। গত সম্মেলনও তিন দিনব্যাপী ছিল। এবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নির্দেশনা গ্রহণের পাশাপাশি স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক সমন্বয়বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবার সম্মেলনে মোট ২৬টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ২০টি। সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। কার্য-অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী,

উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগসংক্রান্ত, এ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রস্তাব ২৩টি। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয় (১৫টি প্রস্তাব) ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত (১৩টি), সুরক্ষা সেবা বিভাগসংক্রান্ত (১১টি), গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত (১০টি) প্রস্তাব বেশি পাওয়া গেছে। ডিসি সম্মেলনের প্রধান প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদারকরণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।

ডিসিরা যা চাইলেন : জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। কমিটিতে পদাধিকারবলে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সহসভাপতি। তারপরও ডিসি-ইউএনওকে সভাপতি করে জেলা ও উপজেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন গোপালগঞ্জের ডিসি কাজী মাহবুবুল আলম। প্রস্তাবের পক্ষে তার যুক্তি- বিদ্যমান কমিটির পাশাপাশি ডিসি এবং ইউএনওর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমিটি গঠিত হলে সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিয়মিত সমন্বয় ও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে। গোপালগঞ্জের ডিসির মতো মাঠ প্রশাসনে নিজেদের ক্ষমতা আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের অনেক প্রস্তাব পাঠিয়েছেন ডিসিরা। যেমন সরকারি রাজস্ব প্রশাসনের উন্নয়ন বরাদ্দে ডিসিদের আয়ন-ব্যয়নের ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন পটুয়াখালীর ডিসি মো. শরিফুল ইসলাম।

প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিভিন্ন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করছে গণপূর্ত ও এলজিইডি বিভাগ। এসব কাজের প্রকল্প গ্রহণ, প্রাক্কলন প্রস্তুত, অনুমোদন, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও বাস্তবায়ন কোনোটির সঙ্গেই ডিসি বা তার প্রতিনিধি রাখা হয় না। তাদের খেয়ালখুশিমতো প্রকল্প প্রস্তুত করে নিজেদের মতো করে বাস্তবায়ন করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কাক্সিক্ষত মনিটরিংও নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হন তারা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ শেষ না করলেও শতভাগ বিল পায়। আবারো প্রকল্প রিভাইজ করে সরকারের অর্থ অপচয় করা হয়। এছাড়া খাসজমি বন্দোবস্তের কবুলিয়ত দলিল বাতিলের ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন জয়পুরহাটের ডিসি সালেহীন তানভীর গাজী। ডিসির এল এ কন্টিনজেন্সি খাতের ব্যয়ের আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ময়মনসিংহের ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান। স্থানীয় সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট অফিসকে কাজের সুবিধার্থে ডিসি অফিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় করার প্রস্তাব দিয়েছেন মাগুরার ডিসি মোহাম্মদ আবু নাছের বেগ। সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে অধিগ্রহণ বা বরাদ্দ করা জমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে ডিসির অনুমতি নেয়ার প্রস্তাব করেছেন গাজীপুরের ডিসি আনিসুর রহমান। জেলায়-উপজেলায় এডিসি ও এসিল্যান্ডের সরকারি বাড়ি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব করেছেন কিশোরগঞ্জের ডিসি আবুল কালাম আজাদ। অথচ বর্তমানে ডিসিদের সাধারণ কার্যাবলির মধ্যে ৬২টি বিষয় রয়েছে। প্রত্যেক বিষয়ে আবার রয়েছে একাধিক কমিটি-উপকমিটি। এসব কমিটির প্রধান ডিসি। তবু কেন তারা এসব প্রস্তাব দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত বছরের প্রস্তাব : গত বছর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ডিসিদের দেয়া অনেক প্রস্তাবের মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ ২৪২টি আমলে নিয়ে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে ১৭৭টি বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি ৬৫টি প্রস্তাব আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। গত বছরের ডিসি সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবসম্পর্কিত কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২০২২ সালে ৫০টি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তিন ধরনের প্রস্তাব নেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৭২টি স্বল্পমেয়াদি, যেগুলোর ৫৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে। মধ্যমেয়াদি প্রস্তাব ১০৫টি, বাস্তবায়িত হয়েছে ৭৭টি। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি ৬৫টি প্রস্তাবের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৪২টি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তৈরি করা ডিসিদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বুকলেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে অন্য একটি

সূত্রমতে, যেসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশও কাগজকলমেই সীমাবদ্ধ। গত বছরের ডিসি সম্মেলনে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রস্তাব করেছিলেন, বিধিবিধান সংশোধন করে পার্বত্য এলাকায় জমির মালিকানার সিলিং নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। সেটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা দেয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু এ ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে মতামত জানানো হয়নি। গত বছর একাধিক ডিসি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কৃষিঋণ বিতরণসহ ব্যাংকিং সেবা দিতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনীহা রয়েছে। যা দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এসব প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে এটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলোতে টেলিটকের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য টেলিটকের প্রকল্পগুলো গ্রহণসহ ১৫টি নতুন বিটিএস টাওয়ার স্থাপনের শুধু পরিকল্পনা নেয়া হয়। এটি বাস্তবায়নের চিত্র দৃশ্যমান নয়। যদিও দায়সারা অগ্রগতির একটি প্রতিবেদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

একইভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে কৃষককে ধানের মূল্য পরিশোধের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ডিসি সম্মেলনে প্রস্তাব দিয়েছিলেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক। সেটির অগ্রগতি সম্পর্কে জানা গেছে, প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত চাওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া সব বিভাগই এ ব্যাপারে মতামত দিয়েছে। এখন চট্টগ্রাম বিভাগের মতামত পাওয়ার পর এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এসব প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সব মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App