×

সারাদেশ

অবশেষে খালাস হচ্ছে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আনা চূর্ণপাথর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩১ পিএম

অবশেষে খালাস হচ্ছে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আনা চূর্ণপাথর

ছবি: ভোরের কাগজ

টানা দুই মাস ১০ দিন পর খালাস হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা চূর্ণপাথর। কাস্টমস জটিলতায় আটকে থাকা ২৭০০ মেট্রিক টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে অবশেষে ৭৭০ মেট্রিকটন খালাসের অনুমোদন পায়।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে ৭৭০ মেট্রিক্স টন গুঁড়া পাথর খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ।

জানা যায়, আশুগঞ্জ নৌ বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তার কাজে ব্যবহার করার জন্য গত ১৩ নভেম্বর এই চূর্ণপাথর গুলি আমদানি করা হয়। কিন্তু এ বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন না থাকার অজুহাতে আটকে দেয় কাস্টমস কতৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা যখন দুই মাস ১০ দিন আগে এলসির পুরো চালান দুই হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চূর্ণ পাথর আমদানি করি। আমদানির পর কাস্টমস থেকে আমাদেরকে জানানো হয় এ বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এর পর থেকে কস্টমসের নানান জটিলতায় পাথর গুলো বন্দরে আটকে যায়। পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এন বি আর) থেকে প্রথম চালানের ৭৭০ মেট্রিক টন পাথর খালাসের অনুমোদন দেয়া হয়।

তারপরও আমাদের বন্দরে ১৯ শত ৩০ মেট্রিক টন পাথর রয়ে যাবে। যার জন্য আমাদেরকে দুই মাস ১০ দিনে বন্দর মাশুল দিতে হচ্ছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা । এতে করে আমাদের অনেক আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান, দুই হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চূর্ণপাথরের মধ্যে ৭৭০ মেট্রিক টন খালাসের অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ট সকাল থেকে খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে।এতে করে ২ মাস ১০দিনে বন্দর মাশুল ফি আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণপাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চারলেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষ ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।

প্রসঙ্গত, আমদানি হওয়া পাথরগুলো ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রতি টন ১৩ মার্কিন ডলারে আমদানি করেছে। স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ আমদানিকৃত পাথরের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করছে। পাথরগুলোর আমদানি শুল্ক প্রায় ৬৯ শতাংশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App