কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য শিক্ষায় পরিবারকে সচেতন করতে হবে

আগের সংবাদ

‘সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে সহজ অর্থায়ন জরুরি’

পরের সংবাদ

শিবালয়ে চুরি করে ড্রেজার বাণিজ্য

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের যমুনার চরে চলছে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য। তেওতা ইউনিয়নের আরিফ,মানিক ও পান্নু নামের তিন ড্রেজার ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকায় দাপটের সাথে ড্রেজার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও পার্শ্ববর্তী জমির দিকে না তাকিয়ে তারা ঝিকুটিয়া মৌজার যমুনার চরে ড্রেজার বসিয়ে বালুমাটি বিক্রির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

কয়েকদিন আগে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সতর্কবানীতে ওই এলাকার অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই তিনজনের ড্রেজার ব্যবসা এখনও রাতদিন চলমান।

তেওতা এলাকা কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাটি ব্যবসায়ী আরিফ, মানিক ও পান্নুর ড্রেজার বাণিজ্যে সাধারণ মানুষ অসহায়। স্থানীয় কোন লোক ড্রেজার বন্ধের বিষয়ে তাদেরকে অনুরোধ করলে তারা নানারকম ভয়ভীতি দেখান।

গ্রামবাসী আরো জানান, এই তিন ড্রেজার ব্যবসায়ী অকুতোভয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দিনরাত যমুনার বালু লুট করছেন। তাদের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় তারা যেন ড্রেজার ব্যবসার বৈধ লাইসেন্স পেয়েছেন।

সোমবার দুপুরে (২৩ জানুয়ারি) সরেজমিন তেওতা ইউনিয়নের যমুনার চর ঘুরে দেখা গেছে, ওই তিন ড্রেজার ব্যবসায়ী ঝিকুটিয়া মৌজায় ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করছেন।

ড্রেজার শ্রমিক হাফিজ ও শামীম জানান, আমরা যেখান থেকে মাটি কাটছি এটি ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি। এই জমির কে প্রশ্নে তিনি ইতস্তত নিয়ে বলেন, সম্ভবত এই জমির মালিক আদিল, মক্কা এবং পিয়ার মল্লিক।

ড্রেজার ব্যবসায়ী আরিফ দৈনিক ভোরের কাগজকে মুঠো ফোনে বলেন, মানিক, পান্নু এবং আমি মিলে এ ড্রেজার চালাচ্ছি।

যমুনার চরে ড্রেজার চালানোর কোন অনুমতি আছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চুরি করে ড্রেজার চালাচ্ছি। আপনি আমাকে আপনার বিকাশ নম্বর দিন। আমি আপনাকে খরচ পাঠিয়ে দিচ্ছি।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহিদুর রহমান দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, ড্রেজার ও ভেকুর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ড্রেজার ও ভেকু ব্যবসায়ী যে বা যারাই হোক- কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়