×

শিক্ষা

ডা. এসএ মালেকের স্মৃতিতে দুইদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম

ডা. এসএ মালেকের স্মৃতিতে দুইদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

ছবি: ভোরের কাগজ

ডা. এসএ মালেকের স্মৃতিতে দুইদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

ছবি: ভোরের কাগজ

ডা. এসএ মালেকের স্মৃতিতে দুইদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

ছবি: ভোরের কাগজ

বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রয়াত সভাপতি ডা. এসএ মালেকের ১৫ বছরের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের ছবি ও স্মৃতি নিয়ে আলোকচিত্রশিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর দুইদিনব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পররাষ্টমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইউবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মানিকগঞ্জ জিলা জজকোর্ট ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।

[caption id="attachment_400581" align="aligncenter" width="1600"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

ডা. এসএ মালেকের স্মৃতিচারণ করে পররাষ্টমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ডা. মালেক ছিলেন প্রচারবিমুখ, কিন্তু ছিলেন চিন্তাবিদ ও গবেষক এবং এজন্য আমার সঙ্গে খুব ভালো যেত। তিনি ছিলেন সত্যবাদী ও স্পষ্টবাদী মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ধরনের উল্টাপাল্টা হচ্ছে, মালেক সাহেব থাকলে উনার সঙ্গে সেটা আলাপ করে সৎ সাহসের জন্য সেটা বলতে পারতেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি।

ডা. এসএ মালেকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু যে ধরনের সোনার মানুষ প্রত্যাশা করতেন তিনি সেরকমই ছিলেন। চাঁদাবাজি, মাতব্বরি, নেতৃত্ব নয়, বরং সোনার মানুষ সৃষ্টি করাই ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদে’র মূল লক্ষ্য ও আকর্ষণ হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। আর এই কাজগুলো করতে পারাই এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথর্কতা।

এসময় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন ও এটার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও তার লক্ষ্য প্রচার ও প্রসার করে বাংলার মানুষকে জাগরিত করার কাজটি ডা. এসএ মালেক অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং সুদীর্ঘকাল একনিষ্ঠভাবে তিনি সেই কাজটি করেছেন।

[caption id="attachment_400582" align="aligncenter" width="1600"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃসময় ছিলো। সেই সময়ের মধ্যেও ডা. এস এম মালেক, কে এম সোবহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল মতিন চৌধুরী, যাকে অপবাদ দিয়ে জেলে নেওয়া হয়েছিল, সেই মানুষগুলো সেদিন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে যেভাবে দাঁড়িয়েছিলো সেটা ভাবতেই আমি শিহরিত হই। আর বর্তমান আমার অনেক ছাত্র-ছাত্রী বা সহকর্মীদের দেখি, ছোট কিছু করে বা দুই-চারটা স্লোগান দিয়ে বলে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তারা এটার অভিযোগ নিয়ে আসে এবং মাঝেমধ্যে তাদের এমন দৌরাত্ম্য দেখা যায়, সারাদেশে আমাদের এত অর্জন থাকার পরেও তাদের কাজের জন্য আমাদের মাথা নুয়ে রাখতে হয়।

এসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিটি কাজে আমরা অতীতে ফিরে গেলে ডা. মালেককে খুঁজে পাই। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনার মানুষগুলো এমনিই হয়। মাটি ও মানুষকে ভালোবাসলে তার প্রতিদান অনন্য। তিনি আমাদের মাঝে নেই কিন্তু চিরকালীন হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার মধ্য দিয়ে মালেকের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App