বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে বাজার বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন ও পর্যাপ্ত দক্ষতাসম্পন্ন স্নাতকদের চাহিদা বাড়ছে। কারণ দেশটি উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর এটি নির্ভর করছে জ্ঞান ও শিল্পের প্রবৃদ্ধির ওপর।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের নেভি কনভেনশন সেন্টারে চট্রগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (সিবিইউএফটি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য, বিশেষ করে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পোশাক ও ফ্যাশন প্রযুক্তি এবং ডিজাইন (নকশা) প্রভৃতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ তৈরি করেছে।

ফারুক হাসান আরো বলেন, বর্তমানে আমরা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) যুগে বাস করছি ও আমাদের কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর একটি বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ। আমরা যদি আমাদের তরুণদের দক্ষ, জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদে পরিণত করতে পারি, তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবো। এটি আমাদের শিল্পগুলোকে আরও প্রতিযোগীতামূলক করতে ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

সিবিইউএফটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। সিবিইউএফটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র। এ সময় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ইউজিসি পরিচালক মো. ওমর ফারুকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক শিল্প প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির মানোন্নয়নের পাশাপাশি হাই-এন্ড পণ্যের দিকে ঝুঁকছে।

ফারুক হাসান আরো বলেন, বর্তমানে আমরা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) যুগে বাস করছি ও আমাদের কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর একটি বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ। আমরা যদি আমাদের তরুণদের দক্ষ, জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদে পরিণত করতে পারি, তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবো। এটি আমাদের শিল্পগুলোকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব পোশাক শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং শিল্প দিনে দিনে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেড) এবং প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। আমরা যদি শিল্পের চাহিদা বিবেচনা করে আমাদের স্নাতকদের বাজার-ভিত্তিক জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদান করতে পারি, তাহলে এই চ্যালেঞ্জগুলোকে আমরা সুযোগে পরিনত করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (সিবিইউএফটি) শিল্পের জন্য উপযুক্ত বাস্তবময় জ্ঞানসম্পন্ন ও দক্ষতাসম্পন্ন যোগ্য স্নাতক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।