×

সারাদেশ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল পুনঃখনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল পুনঃখনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ এর আওতায় পার কাদাকাটি, পুটিমারী ও শাহাপুর খাল পুনঃখনন কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয়রা।

জানা গেছে, আশাশুনি, সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার পারকাদাকাটি খাল, পুটিমারী খাল ও শাহাপুর খাল মোট ১১.৮২৫ কি.মি. খাল পুনঃখননের জন্য ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৬ হাজার ৪৬১ টাকা চুক্তিতে কাজ করাচ্ছেন কুষ্টিয়ার ন্যাচারাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শাহাপুর গ্রামে কাজ শুরু করা হলেও শুরুতেই সিডিউল মোতাবেক কাজ না করা, রের্কডীয় ফসলী জমি ও ভিটেবাড়ির জমিতে মাটি ফেলে জমি নষ্ট করাসহ নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। জমির মালিকসহ এলাকার মানুষ অনিয়ম দূর করে সঠিকভাবে কাজ করার দাবিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুল হুদা লাল্টু জানান, প্রথমে নির্দিষ্ট স্থানে খনন কাজ শুরু করা হলেও দু’টি ঘর বাঁচাতে গিয়ে বাদ রেখে খনন কাজ করা হয়েছে। কোমর উদ্দিনের রের্কডীয় জমির কাছে ধ্বস লাগায় তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাকে ক্ষতিপুরণ দেয়ার কথা হয়েছে। জমিতে ফেলানো মাটি সরিয়ে নেয়া হবে। এছাড়া কিছু স্থানে রের্কডীয় জমিতে মাটি ফেলা হয়েছে। রের্কডীয় জমিতে খনন বা মাটি ফেলে বাঁধের তলায় না পড়ে সে জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দাবি জানান।

স্থানিয় দিছার উদ্দিন মোড়ল জানান, খালের সীমানা ঠিক করে খনন কাজ করার কথা বলেছি, কিন্তু তারা শুনছে না। কাজের ম্যাপ ও কাগজপত্র দেখতে চাইলেও দেখাচ্ছে না। খালের শুরু শাহাপুর প্রাইমারী স্কুলের কাছ থেকে হলেও প্রায় ১০০০ হাত বাদ রেখে মাহবুবুরের বাড়ির কাছ থেকে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

হাসিব খান জানান, প্রথমে যে মাপে কাজ করা হয়েছিল, সেখানে স্কুলের কাছ থেকে গোরালী ব্রিজ পর্যন্ত কাজ করার কথা শুনেছি। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুল থেকে খনন না করে মাহবুবরের বাড়ির কাছ থেকে খনন করা হচ্ছে। খালের এক পাশে বাদ রেখে অন্য পারে রের্কডীয় জমিতে মাটি ফেলে বাঁধ/রাস্তা পথ করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নিয়ম অমান্য করার কারণে আজিজুর রহমান খান, ইসমাইল খান, গফুর খান, মাহবুবর রহমান ও কোমর উদ্দিনের বসত বাড়ির জমি বা ফসলী জমির উপর মাটি ফেলা হয়েছে। ফলে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি খাস জমিতে দখল নিয়ে বসত ঘর নির্মাণকারীরা লাভবান হচ্ছে। তাদের দাবি মানবিক দিক বিবেচনা করে সামান্য ছাড় দেয়াতে তাদের আপত্তি না থাকলেও অন্যের রের্কডীয় জমি খালের সাথে একাকার করে দিয়ে পরিবারগুলোকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়ার ঘটনা এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে হতবাক করে তুলেছে।

এ ব্যাপারে পাউবো’র শাখা কর্মকর্তা (এসও) মো. আব্দুল মতিন জানান, মানবিক কারণে সামান্য ছাড় দেয়া হতে পারে, কিন্তু কারো রের্কডীয় জমিতে খাল খনন বা মাটি ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না। আমি এলাকায় গিয়ে বিষয়টি দেখে নিয়মমত খনন কাজ করতে ব্যবস্থা নেব বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App