×

সারাদেশ

সাংবাদিককে বিয়ে করায় চাকরি গেল নারী উদ্যোক্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১১ এএম

সাংবাদিককে বিয়ে করায় চাকরি গেল নারী উদ্যোক্তার

চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁর বিরুদ্ধে সাংবাদিককে বিয়ে করার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী উদ্যোক্তাকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী উদ্যোক্তা মীম খাতুন (২৩)।

মীম চরসাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তার স্বামী কুষ্টিয়ার একটি স্থানীয় পত্রিকার কুমারখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি সম্প্রতি চেয়ারম্যান মেছের আলী খাঁর বিরুদ্ধে পরিষদের ভিজিএফ চাল চুরির সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। সংবাদ প্রকাশের পর চেয়ারম্যানের ছেলে ও কতিপয় সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় কোর্টে মামলা চলমান।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মীম খাতুন ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ বছরের জন্য চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নারী উদ্যোক্তা হিসেবে চেয়ারম্যানের সঙ্গে লিখিত চুক্তিবদ্ধ হন। এর পর থেকে তিনি নিয়মিত ওই পরিষদের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে স্থানীয় সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর তার বিয়ের খবর চেয়ারম্যানের কানে পৌঁছালে চেয়ারম্যান এ বছরের ১ জানুয়ারি তাকে মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত করে পরিষদ থেকে বের করে দেন। মীম তার উদ্যোক্তার চাকরি ফিরে পেতে স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যানকে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন। তবুও চেয়ারম্যান তাকে পরিষদে প্রবেশ করতে দেননি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মীম।

মীম খাতুন জানান, চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার পাঁচ বছরের লিখিত চুক্তি রয়েছে। হঠাৎ সাংবাদিক মিজানকে বিয়ের খবর শুনে ১ জানুয়ারি থেকে চেয়ারম্যান কোনো নোটিশ ছাড়া তাকে চাকরিচ্যুত করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ জানান, তার সমস্যা হচ্ছে, তাই তিনি মীমকে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছেন। তাতে কার কী সমস্যা হচ্ছে? বলে ফোনটি কেটে দেন। পরে কয়েকবার কল দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলেই এভাবে কাউকে বাদ দিতে পারেন না। পরিষদের কোনো উদ্যোক্তাকে বাদ দিতে হলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে শোকজ নোটিশ করতে হয়। এই নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করার সুযোগ নেই। অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App