×

জাতীয়

ইভিএম নিয়ে সংশয় থাকলেও আশা ছাড়েনি ইসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০৬ পিএম

ইভিএম নিয়ে সংশয় থাকলেও আশা ছাড়েনি ইসি

ইভিএম। ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সংশয় থাকলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখনো আশা ছাড়েনি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আলমগীর বলেন, আমরা বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। কিন্তু ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাশ না হলে এটা একজ্যাক্ট বলা যাবেনা কতটা আসনে এটির ব্যবহার করা যাবে, কারণ কতটা ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করতে পারবো সেটা অনিশ্চিত।

তিনি আরো বলেন, ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব না। এখনও আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।

ইসি বলেন, প্রজেক্ট এখনও অনুমোদন পায়নি। তবে লেটেস্ট কী অবস্থায় আছে তা এখনও পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানায়নি। তবে আমরা কমিশন সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। যদিও এজেন্ডাভূক্ত নয়, তবু আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে। প্রজেক্টের কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বক্তব্য বৈঠকে শোনা হবে। এরপর নির্বাচন অধিশাখার কর্মকর্তা ও টেকনিক্যাল কর্মকর্তার বক্তব্য শুনতে হবে। তারপর বলা যাবে, কতদিনের মধ্যে কতটা পেলে কত আসনে ভোট করতে পারবো ইভিএমে।

তিনি আরো বলেন, দুই লাখ না হয়ে আরও কম হতে পারে। হয়তো একলাখ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন থেকে এখনও ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলেন নাই তারা। যেহেতু ইয়েস, নো কোনোটাই বলেন নাই, সেহেতু চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারবো।

ইসি মো. আলমগীর জানিয়েছেন, এ মাসের মধ্যে পাশ না হলে, দেড় শ’ আসন তখন করা কঠিন হবে আমাদের তখন জানিয়েছিলেন। এ জন্যই আগামী সভায় প্রাথমিক আলোচনায় হয়তো নির্ধারণ হতে পারে শেষ ‘টাইম’ (সময়) কবে হবে।

৬ সংসদীয় উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অর্থাভাবে বন্ধ হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থটা তো বাৎসরিক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। বর্তমান অর্থ বছরে যে টাকা দেওয়া আছে, যেসব নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেগুলোর ব্যয় কিন্তু এক্সিসটিং (জমাকৃত) টাকার মধ্যেই। সরকারের কাছে আমরা এক্সট্রা বাজেট চাইনি। এই আর্থিক মন্দার মধ্যে আমাদের চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না। এখন যে টাকা আছে এই টাকা দিয়ে যে পাঁচ-ছয়টি উপনির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, সেখানে সিসি ক্যামেরা দেয়ার টাকা তো আমাদের কাছে নাই। সিসি ক্যামেরার জন্য আমাদের কোনো বাজেট ছিল না। এক্সিসটিং টাকা থেকে করেছি। এখন তো টাকা নাই।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে তখন তো পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট থেকে ব্যয় হবে। তখন কী লাগবে না লাগবে সেটা ধরে আমরা বাজেট করব। তখন বাজেট দিলে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ওটার সঙ্গে এই বিষয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা তো কেবল বললেই হবে না। অর্থের ব্যাপার যেমন আছে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারও আছে। চার লাখ সিসি ক্যামেরা মনিটর করবেন কীভাবে! সেটার একটা ওয়েআউট (পথ) যদি বের করা যায় তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবহার করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App