×

সারাদেশ

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে থমথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে থমথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় দিনব্যাপী থেমে থেমে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী। রাত পৌনে ১১টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফের সংঘর্ষ এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বার পক্ষের ফের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। এ সময় প্রায় ৪০টি দোকান, বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ও শনিবার আশুগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মিজান মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দুইদফায় সংঘর্ষ হয়।

এই ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের গোষ্ঠীর লোকজন বুধবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এর মধ্যে মিজান মেম্বারের গোষ্ঠীর একজনসহ তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষকালে স্থানীয় বাজারের ১৩টি দোকানে অগ্নিসংযোগসহ আরও প্রায় ২৭টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জয়নাল আবেদীন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আশুগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের রেলগেইট থেকে স্কুলছাত্র রিমন সিএনজি করে দুর্গাপুর গ্রামে আসেন। এ সময় সিএসজি চালক রুহুল আমিন ২০ টাকার স্থলে অতিরিক্ত ১০ টাকা বেশি অর্থাৎ ৩০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্কুলছাত্র রিমনের গায়ে সিএনজি ধাক্কা লাগালে ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। রিমনকে মারধর করে সিএনজি চালক রুহুল আমিন।

পরবর্তীতে স্কুলছাত্র রিমন বিষয়টি তাদের গোষ্ঠীর নেতা মিজান মেম্বারকে জানায়। মিজান মেম্বার বিষয়টি সিএনজি চালক রহুল আমিনের গোষ্ঠীর নেতা দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রাসেল মিয়াকে জানাতে তার বাড়িতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন মিজান মিয়া মেম্বারের ওপর হামলা চালায়।

এ খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মিজান মেম্বারের গোষ্ঠী ও চেয়ারম্যানের গোষ্ঠীর লোকজন সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App