×

সারাদেশ

চালুর অপেক্ষায় বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৩০ পিএম

চালুর অপেক্ষায় বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র

ছবি: সংগৃহীত

চালুর অপেক্ষায় রয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। বঙ্গোপসাগরের তীরে চলছে এর নির্মাণকাজের মহাযজ্ঞ। সেখানে উৎপাদনের জন্য অনেকটাই প্রস্তুত বেসরকারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

বাঁশখালীর গণ্ডমারা উপকূলে নির্মিত কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে হবে ১৩শ ২০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট। যার একটির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। জোরেশোরে চলছে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও। এতে জাতীয় গ্রিডে মাস তিনেকের মধ্যে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ যোগ হবে। জুনের মধ্যে চালু হতে পারে দ্বিতীয়টি।

প্রকল্প পরিচালক দীপংকর মজুমদার বলেন, আমাদের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

এরইমধ্যে জাতীয় গ্রিডের ৪শ কেভি সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হয়েছে কেন্দ্রটি। চলছে কমিশনিংয়ের কাজ। যা তদারকি করছেন সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা।

পিডিবিরি পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় দুটি ইউনিটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রথম ইউনিটটি আগামী এপ্রিল মাসে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। মে এর মধ্যে দুটি ইউনিটই চালু হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এনার্জি অডিটিং ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সোহেল হোসেন সিরাজী বলেন, লোডশেডিং থেকে বিরত রাখার জন্যে এটি বিশাল ভূমিকা পালন করবে। আমরা আশা করছি এসএস পাওয়ার জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে দেশের বিদ্যুৎ শক্তিকে যথাযথ জায়গায় নেয়ার জন্যে তারা ভূমিকা পালন করবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পূর্ণক্ষমতায় চালু রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন হবে ১৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা। তবে অত্যাধুনিক সুপার আলট্রা ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে নাবলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক দীপংকর মজুমদার।

এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ বিনিয়োগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। যার ৭০ শতাংশের মালিকানা দেশীয় প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের। যে সময় এটি চালু হবে তখন থাকবে গরম কাল। ফলে দেশে যে বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে তখন স্বস্তি দিতে পারে এই কেন্দ্র থেকে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ এমনটাই আশা করছেন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App