×

পুরনো খবর

মধ্যনগরে পৌঁছেছে ম্যুরাল থেকে এমপির ছবি অপসারণের চিঠি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম

মধ্যনগরে পৌঁছেছে ম্যুরাল থেকে এমপির ছবি অপসারণের চিঠি

ছবি: ভোরের কাগজ

সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নকশা অনুযায়ী এক পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্য পাশে শেখ হাসিনার ছবি থাকার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই সেখানে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের ছবি যুক্ত করা হয়।

পরে হাইকোর্টে এক রিটের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই আদেশের কপি দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছেছে। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে আদেশের কপিটি উচ্চ আদালত থেকে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্যনগরের ইউএনও নাহিদ হাসান খান ও ধর্মপাশার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও অলিদুজ্জামান বলেন, আদেশটি হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, নির্মাণাধীন ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকার কথা। কিন্তু বিধিবহির্ভূতভাবে ম্যুরালের নকশা পরিবর্তন করে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের ছবি যুক্ত করা হয়। এ নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা আহেমদ। পরে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থেকে সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছবি অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ধর্মপাশা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের প্রস্তাবিত এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের জন্য গত অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ থেকে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোটেশনের মাধ্যমে কাজটি পায় ধর্মপাশার মেসার্স রানা ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন ধর্মপাশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফ উল্লাহ খান ৩০ দিনের মধ্যে এই ম্যুরাল নির্মাণকাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিয়ে গত বছরের ২৩ জুন ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেন। ম্যুরালের নকশা অনুযায়ী এক পাশে বঙ্গবন্ধু ও অন্য পাশে শেখ হাসিনার ছবি থাকার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই সেখানে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের ছবি যুক্ত করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App