×

জাতীয়

গুলশানে টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ক্যাফের সামনে গুলি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:২১ পিএম

গুলশানে টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ক্যাফের সামনে গুলি

ছবি: সংগৃহীত

টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে গ্লোরিয়া জিন্স কফিস বাংলাদেশ নামে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গুলিতে আহত ব্যক্তির নাম আমিনুল। আর যিনি গুলি করেছেন তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু (৪৬)। দুজনকেই আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আ. আহাদ।

গোলাগুলির এই ঘটনা গুলশান-১-এর গ্লোরিয়া জিন্সের সামনে ঘটলেও এর সূত্রপাত একই এলাকার গুলশান শপিং সেন্টারের আলফা জেনারেল স্টোর নামের একটি দোকানে। ওই দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি নম্বরে বিকাশ করার জের ধরে ঘটনা গোলাগুলি পর্যন্ত গড়ায়।

এদিকে, আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড শহিদুল ইসলাম।  তিনি জানান, আরিফ নামে এক ব্যক্তি ওই বিকাশের দোকানে এসে ৩-৪টি নম্বরে ৭৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। হাবিবুর আরিফের কাছ থেকে টাকা না নিয়েই নম্বরগুলোতে ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা পাঠানোর পর তিনি আরিফের কাছে টাকা চান। তখন আরিফ টাকা না দিয়ে বলেন, ‘আপনি একটু দাঁড়ান, আমার লোক টাকা নিয়ে আসছে’। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পর আরিফকে আটক করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বিকেল চারটার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স নামক রেস্টুরেন্টের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। একজন আরেকজনকে গুলি করেছেন। এ ঘটনায় আমরা জড়িত দুজনকেই হেফাজতে নিয়েছি। তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধতা, নাম-পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।

আটক অবস্থায় আরিফ বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেন।’ তখন আরিফ তার বাবাকে ফোন দিয়ে হাবিবুরকে ধরিয়ে দেন। তখন ফোনে আরিফের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে (আরিফ) কি করেছে এতে আমার কোনো রিস্ক (ঝুঁকি) নাই, আমার কোনো দায়িত্ব নেই।’

দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর বলেন, আরিফকে আটক রাখার সংবাদ পেয়ে তার দুই সহযোগী ডিএনসিসি মার্কেটে আসেন। তার মধ্যে একজনের কাছে অস্ত্র ছিল। তার নাম অহিদুল। তিনি আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে এসে ভয় দেখাত ১-২ রাউন্ড গুলি করেন। গুলি করার পর স্থানীয়রা শ্যুটারকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একসময় তারা (আরিফের দুই সহযোগী) দৌঁড়ে গ্লোরিয়া জিন্সের দিকে যেতে থাকে ও গুলি ছুড়তে থাকে।

এদিকে আরিফ ও আরিফের সহযোগীরা গুলশান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App