রাতের নিউজ ফ্ল্যাশ

আগের সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

পরের সংবাদ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ৭:৫৪ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ৭:৫৪ অপরাহ্ণ

বিদ্যুতের বাড়তি দাম প্রত্যাহার, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্র ও জ্বালানি ক্ষেত্রে দায়মুক্তি আইন বাতিলের দাবি ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সারাদেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে আজ ঢাকায় বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতারা বলেন, এই সরকার ১৪ বছরে ১১বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এবারে সরকার আইএমএফ এর ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণ করতেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের উপর চাপ বাড়িয়েছে। দলীয় লোক ও স্বজনদের মুনাফা লাভের জন্য সরকার রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। সিস্টেম লস এর নামে চুরি বন্ধ করলে অর্থাৎ ১১% থেকে ৬% নামিয়ে আনতে পারলে ২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। তাছাড়া দুর্র্নীতি বন্ধ এবং ভুলনীতি পরিবহার করলে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে বরং কমানো যেতো। কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে জনগণের কাঁধেই মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপাচ্ছে।

তারা বলেন, এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষি, শিল্প, বাড়ি ভাড়াসহ সর্বক্ষেত্রে অর্থাৎ এক কথায় সকল পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বাজারে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির এই সময়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশবাসীর জন্য বোঝার উপর শাকের আটির মতো হয়েছে। সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে তাই জনগণের ভাল-মন্দ, দুঃখ-কষ্ট তারা দেখছে না। জ্বালানি খাতের জন্য সরকার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গঠন করেছিল, জ্বালানির দাম বাড়াতে হলে লোক দেখানো হলেও একটা গণশুনানি করতে হতো। এখন সরকার ঐ লোক দেখানো গণশুনানিও করতে চায় না। নির্বাহী আদেশে ইতিপূর্বে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে, এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ালো।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত আগস্ট মাসে জ্বালানি তেলের দাম ৫২% আর গত জুন মাসে গ্যাসের দাম ২২% বৃদ্ধির পর এবার বিদ্যুতের দাম ৫% বাড়িয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় অর্থাৎ বৃদ্ধি করা হবে। ইতিমধ্যেই পত্রিকায় খবর এসেছে আগামী মাসে বিদ্যুতের দাম আরও ৫% বাড়বে। এ মাসেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হতে পারে বলে সংবাদে প্রকাশ পেয়েছে। এভাবে দফায় দফায় জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বৃদ্ধি জনজীবন দুর্বিসহ করে তুলবে।

নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চলেছে। ফলে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনদুর্ভোগ ক্রমাগত বাড়বে। তাই বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নেতৃবৃন্দ সকল বাম-প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়