বুলেট নয়, ব্যালেটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতা আসতে চায় বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবান নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের আয়োজিত 'নতুন যুগে জাপানোলজি' শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, দি জাপান ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিদেকি হারা, জাপানের কোবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কেইছি ওগাওয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইউয়ামা কিমিনোরি এছাড়াও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বরকত।

বক্তব্য প্রদানকালে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায়। ৭০ এর নির্বাচনসহ পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। কোনো বুলেটের মাধ্যমে আসে নাই, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যালটের মাধ্যমে আসে। আমরা ব্যালট যাতে স্বচ্ছ হয় সেজন্য স্বচ্ছ ভোট বাক্স তৈরি করেছি, যাতে বাহিরে থেকে দেখা যায়। আমরা নকল ভোটার এড়ানোর জন্য আইডি করেছি। কেননা কোনো এক সময় সরকার এক কোটি ২৩ লক্ষ ফেইক ভোটার পেয়েছিলো, আমরা সেজন্য বায়োমেট্রিক ছবিসহ আইডি তৈরি করেছি, যাতে এই ধরনের কোনো ঝামেলা না হয়। এখন আমরা তৈরি করেছি একটি নিরপেক্ষ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আমাদের মৌলিক উদ্দেশ্য আমরা একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ ভালো সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তার সঙ্গে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো গঠনমূলক পরামর্শ দেয় তা বিবেচনা করে গ্রহণ করা হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের কোনো অস্বস্তির বিষয় সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কোনো অস্বস্তি নেই। অন্যরা যদি পরামর্শ দেয় তা যদি গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে তা আমরা গ্রহণ করবো। আর পরামর্শ দিলেই তো হবে না, বাস্তবায়নও একটা বড় বিষয়। আমরা বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিবো।

র‍্যাব ইস্যু নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ উল্লেখ করেন তিনি আরো বলেন, র‍্যাব যখন তৈরি হয় তখন আমেরিকা যুক্তরাজ্যের পরামর্শেই তৈরি হয়। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঐ দেশগুলো র‍্যাবের ধারণাটা দেয়। তারাই তৎকালীন সরকারকে এরজন্য ইকুয়েপমেন্ট দেয়। তাদের কারণেই প্রাথমিকভাবে র‌্যাব চালু হয়৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে র‌্যাব এখন অনেক পরিপক্ব। দেশের জনগণ তাদের পারফরম্যান্সের জন্য তাদের চায়। আমেরিকা অন্য বুদ্ধিতে তাদের ওপর প্রেশার দিয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।