×

জাতীয়

পাকিস্তান থেকে ভারতীয় জাল রুপি সংগ্রহ করে পাচার করছিল আসামিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম

পাকিস্তান থেকে ভারতীয় জাল রুপি সংগ্রহ করে পাচার করছিল আসামিরা

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘকাল যাবত পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করতো। দেশীয় চক্রের মাধ্যমে বিপনণসহ ভারতে পাচার করে আসছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ জেলার সরকারি গাড়িচালক আমান উল্লাহ ভূঁইয়া ও তার সহযোগীরা।

১৫ লাখ ভারতীয় জাল মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চার জনের বিরুদ্ধে গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (গুলশান) বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মো. এছাহাক আলী। চার্জশিটে উপরোক্ত কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা।

চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন- আমান উল্লাহ ভূঁইয়া, তার স্ত্রী কাজল রেখা, ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কেরামত এবং নোমানুর রহমান খাঁন।

ফজলুর রহমান ওরফে ফরিদ নামে এক আসামির নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তার করতে না পারায় এবং শফিকুল ইসলাম ওরফে পান্নু মুন্সী নামে আরেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আগামী ১৯ জানুয়ারী মামলাটির তারিখ ধার্য রয়েছে। ওইদিন চার্জশিটটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

চার্জশিটে তদন্ত কমকর্তা এছাহাক আলী বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে জাল রুপী সংগ্রহ করে প্রতিনিধির মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সুকৌশলে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সীশান্তবর্তী জেলায় প্রেরণ করে আসছিল। দীর্ঘকাল যাবত পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করতো। দেশীয় চক্রের মাধ্যমে বিপনণসহ ভারতে পাচার করে আসছিলেন তারা।

বাংলাদেশের অপর প্রান্তে এই জাল রুপীর চাহিদা থাকার কারণে তারা এইভাবে সৃষ্ট জালরুপী নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা যাওয়া করতো। নোমানুর রহমান জাল রুপী পাচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে এবং ফজলুর রহমান পাচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে। আসামিরা পেশাদার জাল রুপী ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা এ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

২০২২ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর ডেমরা ও হাজারীবাগে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় জাল মুদ্রার কারবারে জড়িত চার্জশিটভূক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ ভারতীয় জাল মুদ্রা ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই হারুন অর রশিদ ৮ ফেব্রুয়ারী হাজারীবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App