×

অপরাধ

ধর্ষণকারীকে চিনে ফেলায় গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪৭ পিএম

ধর্ষণকারীকে চিনে ফেলায় গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুরে ধর্ষণকারীকে চিনে ফেলায় গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলশানারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ এক দল দুর্বৃত্ত।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুলিশকে জানান, তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির প্রধান ফটক খুলে বের হন। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি তাকে মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে গ্রামের ফসলি মাঠে নিয়ে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেন। অন্যরা পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। একপর্যায়ে ধর্ষণকারীকে চিনতে পারেন তিনি। তার নাম আব্দুল মান্নান। তিনি একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। ধর্ষণকারীকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

মান্নান ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে মৃত ভেবে তাকে ফেলে চলে যান তারা। তার ঘর ও বাড়ির দরজা খোলা দেখে স্বজনরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে গোঙানির শব্দ শুনে মাঠ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলশানারা বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর মাথায় আঘাত করা হয়। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল।’

জড়িতরা দ্রুতই ধরা পড়বে আশাবাদ ব্যক্ত করে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু ও অভিযান চালাচ্ছেন তারা। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App