×

মুক্তচিন্তা

শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল : দেশের মর্যাদা বাড়বে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩১ এএম

শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল : দেশের মর্যাদা বাড়বে

অক্টোবরেই চালু হবে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। তবে এ প্রকল্প শেষে শাহজালালে আরো একটি রানওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে নতুন আরেকটি রানওয়ে নির্মাণের কোনো বিকল্পই নেই। থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের সময় ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বোর্ডিং ব্রিজ ১২টির বদলে ২৬টি নির্মাণ করা হচ্ছে। বানানো হচ্ছে ভিআইপি টার্মিনাল। এর ফলে অপারেশনাল কাজ বিঘœ ছাড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে, তার যাত্রীধারণ ক্ষমতা বছরে প্রায় ৭০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্ল্যান রাখার অ্যাপ্রোন নির্মাণ করা হচ্ছে। টার্মিনাল ভবন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। ভবনের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। নির্মাণাধীন টার্মিনালটিতে কয়েকটি স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হবে। যারা বিমানবন্দরের ভেতরে দীর্ঘ পথ হাঁটতে পারবেন না, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোয় বেশি যাত্রীপ্রবাহের জায়গায় এসকেলেটরগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি মেট্রোরেল স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া-আসা যাত্রীর সংখ্যা বিপুলভাবে বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে আরো একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দরকার হবে। তার আগে শাহজালালে বাড়তি চাহিদা পূরণে আরেকটি রানওয়ে নির্মাণে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ২২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের এভিয়েশন সেক্টরে বড় ধরনের বিপ্লব হচ্ছে। তার নির্দেশনা অনুসারে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরে বেশি যাত্রীপ্রবাহের জায়গাগুলোয় এ এসকেলেটরগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি যাত্রীদের একটি শান্ত ও মসৃণ যাত্রার অভিজ্ঞতা দেবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। টার্মিনালটির প্রতিটি ওয়াশরুমের সামনে থাকবে একটি করে বেবি কেয়ার লাউঞ্জ। এ লাউঞ্জের ভেতর মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং বুথ, একটি বড় পরিসরে ফ্যামিলি বাথরুম থাকবে। এ ছাড়া শিশুদের খেলার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকবে। হেলথ ইনস্পেকশন সুবিধা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট-এইড রুম, নানা রোগের টেস্টিং সেন্টার ও আইসোলেশন এরিয়া থাকবে। থার্ড টার্মিনাল চালু হলে আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদা বাড়বে বাংলাদেশের। একজন পর্যটক কোনো দেশে এলে বিমানবন্দর দেখে সে দেশকে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন করে। বিমানবন্দর আধুনিক হলে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন হয়। থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হলে দেশের অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক যোগ হবে। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল আমাদের অহংকার। থার্ড টার্মিনাল আমাদের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করবে।

আর কে চৌধুরী : মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ, ঢাকা। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App