×

সাহিত্য

পৌষের রোদমাখা দিনে ‘পৌষ উৎসব’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৮ পিএম

পৌষের রোদমাখা দিনে ‘পৌষ উৎসব’
পৌষের রোদমাখা দিনে ‘পৌষ উৎসব’
পৌষের রোদমাখা দিনে ‘পৌষ উৎসব’

ছবি: ভোরের কাগজ

গ্রাম বাঙলার ঘরে ঘরে নতুন জামাই বা অতিথি এলে হাজির করা হয় ‘তক্তি’ পিঠা। পিঠার সঙ্গে জামাই আদরের সম্পর্কটা বেশ ঐতিহ্যবাহী। একটু বড় আকারের চাপ্টির নাম নাকি ‘ঝালজামাই’। নামের কারণেই হোক বা স্বাদের কারণেই হোক, মানুষের আগ্রহও কম নয় ঝালজামাইয়ের প্রতি। ঝালজামাইয়ের পাশাপাশি চিতই, মালপোয়া, ভাপা, পুলিসহ এমনই নানান স্বাদের পিঠা ও কারুপণ্য নিয়ে রাজধানীর ওয়াইজঘাট সংলগ্ন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি মাঠে শুরু হয়েছে পৌষ মেলা-১৪২৯।

এদিন বেলা খনিকটা বাড়লেও প্রকৃতিতে সূর্যের দেখা মিললেও গাছের ছায়ায় সূর্যের আলো ছিল অনেকটাই ম্রিয়মাণ। পৌষের রোদমাখা এমনই প্রকৃতিতে বৃহস্পতির বিকালে আবহমান বাংলার হাজারো বছরের লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মেলা শুরু হয়েছে তিনদিনের এই মেলা।

পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত পৌষমেলার উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে আয়োজিত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাফার সভাপতি হাসানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্কৃতিজন মানজার চৌধুরী সুইট।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেএম খালিদ বলেন, পৌষমেলা ধনী, গরিব, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির একটি অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব। এর মাধ্যমে সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সেতুবন্ধন রচিত হয়। পৌষমেলার উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে হলেও শত শত বছর ধরে আমাদের গ্রামবাংলায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন, আমি ভালো পুলি পিঠা তৈরি করতে পারি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি থেকে বাঁচতে মায়ের পিঠা তৈরিতে বহুবার সাহায্য করেছি। তাছাড়া আমি ঢেঁকি ভানতেও জানি। যদিও এখন আগের সেই ঢেঁকি নাই। মেশিনে ধান মাড়াই, চাল ও চালের গুঁড়া তৈরি হয়। তিনি বলেন, আমাদের নাগরিক যান্ত্রিক জীবনে শীতের রুক্ষ-শুষ্ক-মলিনতার মধ্যে পৌষমেলা যেন এক শুদ্ধ উষ্ণ আবেশ।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রথম দিন উৎসব মঞ্চে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে ক্রান্তি, বহ্নিশিখা, মহীরুহ ও বাফা। দলীয় আবৃত্তি করে কথা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র আর দলীয় নৃত্য বাফা, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় ও জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমি। বাউল গান পরিবেশন করেন সমীর বাউল ও শাহনাজ বাউল। একক গান পরিবেশন করেন ড. তাপসী ঘোষ, সমর বড়ুয়া, মোহনা দাস, শান্তা সরকার, খোন্দকার খায়রুজ্জামান কাইউম প্রমুখ। একক আবৃত্তি করেন আজহারুল হক আজাদ ও অনন্যা লাবণী পুতুল প্রমুখ। দিনের সবশেষ বিশেষ আয়োজন হিসেবে ছিল মানিকগঞ্জের দলে মহুয়া পালা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App