×

সাহিত্য

ওয়াইজ ঘাটে তিন দিনের পৌষমেলা শুরু বৃহস্পতিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম

ওয়াইজ ঘাটে তিন দিনের পৌষমেলা শুরু বৃহস্পতিবার

ছবি: ভোরের কাগজ

 অংশ নিচ্ছে ৮০ সংগঠনের ২ হাজার শিল্পী

শীতের দাপট চলছে। দেশজুড়ে চলছে শৈত্য প্রবাহ। তবে ঢাকায় ঝকঝকে রোদ উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। এই উষ্ণতার মধ্যে নগর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবহমান বাংলার পিঠাপুলিতে পৌষ হয়ে ওঠে অনন্য। বাংলার এই ঋতুকে উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে পুরানো ঢাকার ওয়াইজ ঘাটের বুলবুল ললিতকলা একাডেমির মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনের পৌষ মেলা। এবারের উৎসবে ৮০টি সংগঠনের ২ হাজার শিল্পী অংশ নিচ্ছেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। রকমারি পিঠা-পুলির স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিনই মঞ্চে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। লোকায়ত জীবননির্ভর সংযাত্রা, যাত্রাপালা এবং নৃত্য-গীত ও কবিতার পরিবেশনায় সাজানো হয়েছে এ আয়োজন। পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত তিন দিনের মেলা শেষ হবে শনিবার। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে মেলা।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদ আয়োাজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, মিলন কান্তি দে, মানজার চৌধুরী সুইট, বাবুল বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম, বাউল দেলোয়ার প্রমুখ।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মূলত কৃষিনির্ভর জীবনের প্রতিচ্ছবি এই পৌষমেলা। কৃষিভিত্তিক সমাজে সবাই মিলে পিঠা-পুলি খাওয়ার মাধ্যমেও সামাজিক বন্ধনের প্রকাশ ঘটে। সম্প্রীতির সেই দৃশ্যকল্প বলে যায় আমাদের শেকড়ের কথা। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সেই শেকড়ের পরিচয় ঘটানো এবং বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই এই মেলার লক্ষ্য। বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, গ্রামীণ সমাজ এখন সংস্কৃতিবিমুখ হয়ে পড়ছে। শহরেও নিজস্ব সংস্কৃতি লালনের প্রবণতা দেখা যায় না। মানুসের জীবনে বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই আমাদের এ আয়োজনের লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার মেলা শুরু হয়ে যাবে সকাল ১০টায়। তবে, বেলা আড়াইটায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমির (বাফা) সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বিশ^জিৎ রায়।

প্রথম দিন উৎসব মঞ্চে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে ক্রান্তি, বহ্নিশিখা, মহীরুহ ও বাফা। দলীয় আবৃত্তি কথা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র আর দলীয় নৃত্য বাফা, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় ও জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমি পরিবেশন করবে। বাউল গান নিয়ে আসবেন সমীর বাউল ও শাহনাজ বাউল। একক গান গাইবেন ড. তাপসী ঘোষ, সমর বড়ুয়া, মোহনা দাস, শান্তা সরকার, খোন্দকার খায়রুজ্জামান কাইউম প্রমুখ। একক আবৃত্তি করবেন আজহারুল হক আজাদ ও অনন্যা লাবণী পুতুল প্রমুখ। দিনের সবশেষ বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে মানিকগঞ্জের দলে মহুয়া পালা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App