×

জাতীয়

অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক

বুধবার সকালে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক
অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক

রাজধানীর বারিধারা এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। অভিযানের অংশ হিসেবে বারিধারা ১১ নম্বর রোডের চারটি বাড়ির সামনে ড্রেনে কলাগাছ দিয়ে সারফেস ড্রেন থেকে পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। বাড়ির মালিকরা অনতিবিলম্বে নিজ থেকে এসব সংযোগ বন্ধ না করলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র।

এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা হিসেবে খ্যাত বারিধারার ৫৫০টি বাড়ির মধ্যে ৩৪২ বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দেয়া হয়েছে। সার্ভে’র রিপোর্ট (জরিপ প্রতিবেদন) অনুযায়ী বেঁধে দেয়া আট স্তরের ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে বারিধারা এলাকার মাত্র পাঁচটি বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দেয়া হয়নি। এছাড়াও ২০৩টি বাড়ি আটটি শর্তের মধ্যে কিছু সংখ্যক শর্ত পূরণ করেছে। অন্যদিকে একদমই শর্ত পূরণ করেনি ৩৪২টি বাড়ি, যাদের বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে।

এ বিষয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘একটি অভিজাত এলাকায় যদি এমন চিত্র আমাদের দেখতে হয় তাহলে আমাদের আর কি করার আছে? অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ খুবই দঃখজনক। বার বার বলছি সিটি কর্পোরেশনের সুয়ারেজ লাইনে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ দেয়া যাবে না। ওয়াসার পৃথক লাইনে এসব বাড়ির বর্জ্য যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি নেই। যেখানে ওয়াসার লাইন নেই সেখানে নিজস্ব ব্যবস্থায় ইটিপি প্লান্ট বসিয়ে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজ আমরা দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান পরিচালনা করেছি। পরবর্তীতে বনানী ও নিকেতন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

এর আগে ৪ জানুয়ারী গুলশান ২ এর ১০৪ ও ১১২ নম্বর রোড এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ বন্ধে ডিএনসিসি প্রথমবার অভিযান পরিচালনা করে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, কোনোভাবেই পয়ঃবর্জ্য বা ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না। অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে তাদের জানিয়ে আসছি, সচেতন করে আসছি। গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি, কিন্তু তারা কথা শুনেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা অভিযান শুরু করলাম। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে, এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বাসার সামনে গিয়ে ড্রেনগুলো আমরা কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App