যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮৮টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনছে কানাডা। এতে খরচ হবে এক হাজার ৪২০ মিলিয়ন ডলার। নতুন ফাইটার জেটগুলো কানাডিয়ান এয়ার ফোর্সের বহরে থাকা সমস্ত পুরানো ফাইটার জেটকে প্রতিস্থাপন করবে। এটি ৩০ বছরের মধ্যে কানাডার সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যয়।

কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সামরিক তৎপরতার প্রেক্ষাপটে গত মার্চে আমেরিকার কাছ থেকে এই যুদ্ধবিমান কেনার ঘোষণা দেয় অটোয়া। খবর : আল-জাজিরার।

অনিতা বলেন, 'যেহেতু আমাদের পৃথিবী ধীরে ধীরে রাশিয়ার অন্যায় ও অবৈধ আগ্রাসনে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে এবং চীনের তৎপরতায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল দিন দিন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। কানাডা এই বিষয়গুলোকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে এবং এই যুদ্ধবিমান কেনার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আর্কটিক অঞ্চলসহ আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি ভাল সময়।'

মার্কিন বিমান নির্মাতা লকহিড মার্টিন ও প্র্যাট অ্যান্ড কানাডা ২০২৬ সালে এফ-৩৫ বিমানের প্রথম চালান সরবরাহ করবে। এছাড়াও, পুরো চালানটি ২০৩২ ও ২০৩৪ সালের মধ্যে অটোয়া দ্বারা প্রাপ্ত হবে। এটি কানাডা ও আমেরিকার মধ্যে চুক্তি।

জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-৩৫ বিমান কেনার চুক্তি করেছে। তবে অনেক সময় আমেরিকার এই উন্নত বিমান প্রযুক্তিগত ত্রুটির মুখে পড়ে এবং গ্রাউন্ডেড রাখা হয়। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনায় ইসরায়েলি ও আমেরিকার সব এফ-৩৫ বিমান গ্রাউন্ড করা হয়েছে।