বিদেশে হাত পেতে চলাই বিএনপি-জামায়াতের নীতি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে হাত পেতে চলাই বিএনপি-জামায়াতের নীতি তারা দেশকে তেমন কিছু দিতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত আজ দেশে গণতন্ত্রের জন্য আনন্দোলন করে, অথচ তাদের জন্ম হয়েছে অবৈধ সামরিক শাসকের পকেট থেকে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভাটি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে কারাগারে শুধু বন্দী করেই রাখা হয়নি, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জেলখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ধরনা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের চাপেই ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় এলেও আমরা সেদিন মুক্তি পাইনি। আমরা মুক্তি পেয়েছিলাম ১৭ ডিসেম্বর, আর ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে আসার পরই বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন পূর্ণতা পায়।
তিনি আরও বলেন, মুক্তি পেয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের (পরিবারের) কাছে আসেননি, বাংলার মাটিতে ফিরে বঙ্গবন্ধু যান মানুষের কাছে, রেসকোর্স ময়দান। লাখো জনতার সামনে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন কীভাবে, কী নীতি আদর্শে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ চলবে। রূপরেখা দিয়েছিলেন দেশ গড়ার।
শেখ হাসিনা বলেন, ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে কথাগুলো বলেছিলেন তিনি একে একে সব করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সংবিধান দিতে ১১ বছর লেগেছিল।
তিনি আরও বলেন, খুব আশা ছিল তিনি দেশকে গড়ে তুলবেন। ১০ জানুয়ারি তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন, একে একে সবই করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দেন আমাদের। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কেউ এতো দ্রুত গড়ে তুলতে পারে, এ নজির বোধহয় কেউ দেখাতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কেবল বঙ্গবন্ধুর আমলেই ৯ শতাংশের বেশি হয়েছিল।