×

সারাদেশ

শান্তিগঞ্জে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৪০ পিএম

শান্তিগঞ্জে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

ছবি: ভোরের কাগজ

শান্তিগঞ্জে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি
শান্তিগঞ্জে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

শান্তিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মাধ্যমে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। পাঠক যাতে সহজেই বই পড়তে পারে সেজন্য এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। প্রতি সাপ্তাহে একদিন উপজেলা শহরে আসে লাইব্রেরি’র গাড়িটি। ওই দিন সকাল থেকে পাঠকরা অপেক্ষায় থাকেন কখন গাড়ি আসবে, আর পুরান বই জমা দিয়ে নতুন বই সংগ্রহ করবেন তারা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় কোনো পাবলিক লাইব্রেরি না থাকায় বই পাগল মানুষের একমাত্র ভরসা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’।

প্রতি সোমবার উপজেলার নির্দিষ্ট পাঁচটি স্থানে এসে দাঁড়ায় বইয়ের গাড়িটি। গাড়িতে থাকে হাজারো বই। এর মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ, উপন্যাস, আত্মজীবনী, ইতিহাস, কবিতা, সাইন্স ফিকসন, অনুবাদ, ভাষা, মুক্তিযুদ্ধ, শিশু কিশোর সাহিত্য, ভ্রমণ কাহিনীসহ ধর্মীয় বই। শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল কর্মসূচির বইও আছে। গাড়িটি প্রতিটি স্থানে অবস্থান করে এক ঘণ্টা। কোনো পাঠক যদি আগের সপ্তাহের বই পড়ে শেষ করতে না পারেন তবে ওই বইটিই রি-নিউ করে নেন।

শুধু শিক্ষার্থীই নয়, এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির পাঠক তালিকায় আছেন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, গৃহিণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সূত্রে জানা যায়, সাধারণ সদস্য ১০০ টাকা, বিশেষ সদস্য ২০০ টাকা এবং বই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ টাকা ফি জমা দিয়ে এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করতে পারবেন সদস্যরা। সাধারণ ও বিশেষ সদস্যরা বই ফেরত দেয়ার শর্তে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারবেন।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য সাগর জানান, প্রতি সোমবারে লাইব্রেরির গাড়ি আমাদের কলেজে আসে। আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে বই সংগ্রহ করে পড়ি।

আরেক শিক্ষার্থী ইমা জানায়, একশত টাকা জামানত দিয়ে আমি লাইব্রেরির সদস্য হয়েছি। এখন প্রতি মাসে ১০ টাকা করে দিই। সদস্য হয়ে আমি এখান থেকে বই নিতে পারি, পড়তে পারি।

এ ব্যাপারে কথা হলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মকর্তা ইরফানুল হক বলেন, মানুষ যাতে হাতের কাছে সহজেই বই পায় এবং বাসায় নিয়ে পড়তে পারে সেই চিন্তা থেকেই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি করার স্বপ্ন দেখেন আব্দুলাহ আবু সায়ীদ স্যার। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি জ্ঞানের অন্যান্য শাখায় শিক্ষার্থীদের বিচরণের জন্য বিশ্বের বিখ্যাত বইগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির লক্ষ্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App