×

জাতীয়

বিরোধীদলের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবার আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৩ পিএম

বিরোধীদলের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবার আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে দরকার একটি রাজনৈতিক সমঝোতা, রাষ্ট্রপতি তার ভাষনে এটি বিষদভাবে আহ্বান জানিয়েছেন। তাছাড়া একটি অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত সংংস্কারও প্রয়োজন। তা না হলে আমাদের অর্থনীতি হোচট খাবে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য বিরোধীদলের কিছু কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নেবার আহ্বান জানান, তা না হলে দেশের উন্নয়ন বিঘ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ক্রম বর্ধমানহারে রিজার্ভ কমছে, যা উদ্বেগজনক, তাই আইএমএফের ঋণ বিশেষ প্রয়োজন। তিনি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেবার দাবি জানান।

শামীম হায়দার বলেন, বর্তমানে দেশ বেশ কয়েকটি সঙ্কটে রয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বড়টা হচ্ছে সুশাসনের অভাব। এছাড়া রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবও ছিল।

তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশকে গতানুগতি ভাবে পরিচালিত করলে হবে না, সংশোধিত এপ্রোচে চালাতে হবে। তিনি আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতার সমালোচনা করে তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। তিনি রেমিটেন্স বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

এছাড়া কোটা ভিত্তিতে উপজেলা থেকে বিদেশে লোক পাঠানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, রেমিটেন্স দ্রুত কমে যাচ্ছে, ডলার বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। যেমন, অনেকেই বিদেশে লাখ লাখ এমনি কোটি ডলার দিয়ে বাড়ি কিনেছেন, বানিয়েছেন। তারা ট্যাক্স ফাইলে এগুলো দেখাতে পারছেন না। এদেরকে যদি বিশেষ সুবিধা দেয়া যায় তাহলে তারাও ট্রাক্স ফাইলে এগুলো দেখিয়ে এ ইনভেসমেন্ট বৈধ করতে পারেন। এতে ডলার বাড়বে।

এছাড়া বিদেশি ডোনাররা যখন এনজিও গুলেকে ফান্ড পাঠায় তখন তা রিলিজ করতে বেশি সময় লাগে, এ জন্য অনেকেই ফাণ্ড পাঠাতে রাজি হচ্ছে না। এটা সহজীকরণ করা দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ৩৫ তম অর্থনৈতিক দেশ। প্রায় ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি আমাদের। তার পরেও আর্থিক খাতে এত সঙ্কট কেন। এর কারণ হিসেবে তিনি অনেকগুলো কারণ উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ ২০০৮ সালে ২০ হাজার কোটি ছিল মন্দ ঋণ। এখন তা ২ লাখ কোটি টাকা হয়ে গেছে। যা প্রকৃত পক্ষে আড়াই লাখ টাকা। কেননা আমরা ঋণ রিসিডিউল করা হয়েছে। এখানে একটি চক্র এর পিছনে কাজ করেছে বলে জানান তিনি। তার মধ্যে একটি ব্যাংকের একাধিক ব্যক্তি পরিচালক হতে পারবে, এখানে আইন সংশোধন করেছে তারা। ঋণ খেলাপীর সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হচ্ছে বার বার এবং ব্যাংকে অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে সরাসরি আনা হয়েছে। আগের মত আর বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করতে পারছে না। তিনি নিত্য পণ্যের এলসি কোনভাবেই কমানোর কমানো যাবে না বলে মনে করেন। আর বিদ্যুৎসহ নিত্য ব্যবহার্য সব জিনিষের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App