দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহতের নাম মোহাম্মদ ইউসুফ (৭০)।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ কেউচিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে খন্দকার খিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইউসুফ ওই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তার বাড়ি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা গ্রামে হলেও খোর্দ কেঁওচিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে খন্দকার খিল এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।

জানা যায়, সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল পাঁচটার সময় অজ্ঞাতনামা একজন চোর ইউসুফের বাড়িতে ঢুকে। এসময় ইউসুফ প্রথমে কক্ষের মধ্যে ওই লোককে আটক করে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ঘটনা অবহিত করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে অজ্ঞাতনামা যুবককে আটক করে তার পরিচয় জানতে চাইলে তার নাম শওকত ও বাড়ি পদুয়া ইউনিয়নে বলে জানান। এর মধ্যে পদুয়া এলাকার সাইফুল ও সাগরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শওকতকে লোকজনের হাত থেকে ছাডিয়ে নিয়ে ইউসুফকে ধরে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে তারা ইউসুফকে ছেড়ে শওকতকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় গুরুতর আহত ইউসুফকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান উদ্দিন বলেন, ছদাহায় মারামারির ঘটনায় এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার পূর্বে ইউসুফ মারা যায়। ধারণা করা হচ্ছে মারামারিতে লোকটি মাথায় আঘাত পায়। এতে রক্তক্ষরণে মারা যেতে পারে। তবে শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোরশেদুর রহমান বলেন, এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি আশ্রয়ণকেন্দ্রের পাশে খন্দকারখীলে ইউসুফের বাড়িতে অপরিচিত এক লোক ঢুকে পড়লে বেঁধে রাখা হয়। পরে তার পক্ষের লোকজন এসে বৃদ্ধকে মারধর করে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমরা উপস্থিত হয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় কারা জড়িত এটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।