×

জাতীয়

ফেব্রুয়ারিতেও অব্যাহত থাকবে হাড়কাঁপানো শীত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৫১ পিএম

ফেব্রুয়ারিতেও অব্যাহত থাকবে হাড়কাঁপানো শীত

ছবি : সংগৃহীত

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। পুরোনো রেকর্ড না ভাঙলেও শীত অনুভব হচ্ছে বেশি। এজন্য বিভিন্ন কারণও দেখাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। কেউ দায়ী করছেন জলবায়ু পরিবর্তনকে, আবার কেউ বলছেন এবার প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই শীত পড়ছে। তবে এখনই শীত থেকে রেহাই মিলছে না; বরং বাড়তে পারে তীব্রতা। এমন অবস্থা থাকতে পারে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ফেব্রুয়ারিতেও বইতে পারে দুটি শৈত্যপ্রবাহ।

শনিবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এবারের শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় গতকাল এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দেশে দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম। মাঝরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত, কখনও আবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে দেশ। ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশের দিকে প্রায় ২০০ মিটারের একটি কুয়াশার স্তর থাকে। এর কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে পারছে না। ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং এর সংলগ্ন বাতাসের উষ্ণতা বাড়তে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকলে বিকিরণ প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠ শীতল হতে সময় লাগে। তাপমাত্রা ভূপৃষ্ঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারে। ফলে ধরণি শীতল হতে না হতেই নতুন দিনে সূর্যের আগমন ঘটে। এতে মেঘমুক্ত আকাশ ধরণিকে দ্রুত শীতল করে। পাশাপাশি দীর্ঘ রাত সূর্যের আগমন বিলম্বিত করে। এসব কারণ উপস্থিত থাকায় ঊর্ধ্বাকাশের বাতাসের গতির জেট এক্সট্রিম (শীতল বাতাসের লাইন বা যেখানে তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রি) নিচে নেমে এসেছে। এসব কারণ মিলিয়েই বাংলাদেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে।

এ আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, আগামী দু-এক দিন এই শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। দুই দিনের মধ্যে কুয়াশা কিছুটা কাটতে শুরু করবে। এতে রোদ বেড়ে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। কমতে থাকবে শীতও।

দেশের কয়েকটি জেলায় গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুপুরে কয়েক ঘণ্টার জন্য রোদের দেখা পাওয়া গেলেও গতকাল সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। সকাল থেকে দিনভর শীতের তীব্রতা ছিল, সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়ার সঙ্গে আরও জেঁকে বসে ঠান্ডা। পাঁচ দিন ধরে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ মৃদু থাকলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এলে সেখানে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে ভারতের দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিশাল ঘন কুয়াশার স্তর আটকে আছে। ফলে রোদ এ অঞ্চলগুলোর ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারছে না। নিচের দিকে তাপমাত্রা কম ও ওপরে বেশি হচ্ছে। ফলে কুয়াশার পরিমাণ আরও ঘন হয়ে বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা শীতল বায়ুর একটি প্রবাহ দিন দিন শক্তিশালী বা ঠান্ডা হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে শীতের দাপট প্রতিদিনই বাড়ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App