×

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: দুর্ভোগে শিশু ও বৃদ্ধরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২০ পিএম

কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: দুর্ভোগে শিশু ও বৃদ্ধরা

ছবি: ভোরের কাগজ

কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে গত দুদিন ধরে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র রোববার (৮ জানুয়িারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেন।

সকাল ১০ টার পর সূর্যের দেখা পাওয়া যাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেল চারটার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠাণ্ডা নেমে আসে। সন্ধ্যা লাগার সঙ্গে সঙ্গে এলাকাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। এ অবস্থায় শিশু ও বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়, অতিমাত্রায় শীতের কারণে জেলার বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ঠাণ্ডার তীব্রতায় বোরো বীজ তলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে নিম্ন আয়ের কৃষি শ্রমিকরা মহা বিপাকে পড়েছে।

জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে বের হচ্ছেন কৃষিকাজে। এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধদের চিকিৎসা নেয়ার খবর এসেছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা অববাহিকার ছিন্নমূল মানুষজন গরম কাপড়ের অভাবে নিদারুণ কষ্টে রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সবুর আলী জানান, প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছি। রাত হলেই ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। গরম কাপড় নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন গুজরান করছি।

জেলা শহরের রিকশাচালক সদর উপজেলার আমজাদ বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে আর রিক্সার হ্যান্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠাণ্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না। সন্ধ্যা নামতেই শহর ফাঁকা হয়ে যায়। এই শীতে খুব কষ্টে আছি। শৈত্যপ্রবাহের বিরূপ আবহাওয়ায় জেলার ছোট বড় হাটবাজারগুলো সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে। তীব্র কুয়াশার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, রবিবার সকাল নয়টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপত্রামা রেকর্ড করা হয়েছে আট দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, এ পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলার শীতার্ত মানুষকে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে আরো তিন হাজার শীতবস্ত্র। এছাড়া, নতুন করে আরো ২৫ হাজার কম্বল বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতার্ত মানুষকে বিতরণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App