×

পুরনো খবর

মাগুরায় শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:২৮ পিএম

মাগুরায় শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত

ছবি: ভোরের কাগজ

মাগুরা সদর উপজেলাসহ চার উপজেলায় ঘন কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে মেলেনি সূর্যের দেখা। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ তেমন নেই। প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে গরিব অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো।

সকালে কনকনে শীত ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশার কারণে বোরো ধান রোপণে কৃষি শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছেনা। দূর থেকে আসা অনেকেই কাজ না করে ফিরে যাচ্ছেন।এ রকম বিরুপ আবহাওয়ার কারণে ক্ষেতের ফসল নষ্টের আশঙ্কা করছে কৃষকরা।

মাগুরা সদর উপজেলার টীলা গ্রামের কৃষক কেরামত আলী, দবির বিশ্বাস, শালিখার দরিশলই গ্রামের কৃষক ব্রজেন বিশ্বাস, আক্তার হোসেন, পোড়াগাছি গ্রামের নির্মল বিশ্বাস জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে বোরো বীজতলা ও সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে সর্দিজ্বর, আমাশয়, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

ভূমিহীন ও রাস্তার ফুটপাতে শুয়ে যাদের জীবন কাটে তাদেরকে এই হিম শীতে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় কষ্ট পাচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই। রোদের তেমন দেখা মিলছে না। সকাল থেকে ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়ায় হাড় কেঁপে উঠছে। বেড়েছে ভাসমান মানুষের দুঃখ কষ্ট। বেলা করে কুয়াশা থাকায় প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। দিনের বেলাও থাকছে শীত। দিনের চেয়ে রাতের শীত বেশি।

শীতের কারনে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও সপিংমলে চাদর, কম্বল, জ্যাকেট সোয়েটার, কার্ডিগান, হাতমোজা, কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুন। বিত্তবানরা ছুটছেন শহরের বড় বিপনি-বিতানগুলোয়। আর নিম্ন আয়ের মানুষ গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছে।

উপজেলার আড়পাড়া বাজার দারোগা মার্কেটের গার্মেন্টস কাপড় ব্যবসায়ী নিমাই সাহা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় বিক্রি কম। কিন্তু শীত বেড়ে যাওয়ার কারণে গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি।

উপজেলা সদর আড়পাড়া ঈদগাহ পুরাতন মার্কেটে যশোর থেকে আসা ফুটপাতের ভাসমান ব্যবসায়ী হিমেল মিয়া জানান, শীতের কারনে ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ শত টাকা পর্যন্ত দামে শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে।

তিনি জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেশির ক্রেতাই বেশি ভীড় জামাচ্ছেন। সেই সাথে ভ্যান চালকসহ অসহায় শীতার্ত মানুষও কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করছেন। পুরনো এ সকল শীতের কাপড় কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখেই বুঝা যায়, শীত কতটা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইমুন নেছা জানান, শীতের কারণে মানুষের নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর, কাশি, আমাশয় রোগ দেখা দিতে পারে। এ জন্য হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন মনিরা বলেন, শালিখা উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩৪৩০ পিচ কম্বল এসেছে। সেগুলো আমাদের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। এসব কম্বল পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App