×

জাতীয়

প্রতিপক্ষকে দমনে অসৎ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৬ পিএম

প্রতিপক্ষকে দমনে অসৎ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার

ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পত্তি আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ (বিএসপিপি)।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বিএসপিপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, রাজনীতির মাঠ থেকে প্রধান প্রতিপক্ষকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখলে রাখার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকার এমন নোংরা নীতি গ্রহণ করেছে। একটা সভ্য রাষ্ট্রে সরকারের এমন হিংসাত্মক আচরণ কল্পনাও করা যায় না।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত তদারকি সরকারের সময় দেশকে রাজনীতি শূন্য করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ঢালাওভাবে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দেয়া হয়। গণতন্ত্রহীন ওই সময়ে ২০০৭ সালে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল, তা ছিল সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, রাজনীতির অন্ধকার সময়ের একটি ভুয়া মামলাকে ব্যবহার করে দেশের সবচেয়ে জননন্দিত দলের শীর্ষ নেতার সম্পত্তি ক্রোকের উদ্যোগ নেয়া হলো।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে যে একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে এটি তার উজ্জল প্রমাণ। আমরা মনে করি দীর্ঘদিন পর ভিত্তিহীন মামলাকে পুঁজি করে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তা সরকারের ইঙ্গিতেই হয়েছে।

পেশাজীবি নেতারা বলেন, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০০৭ সালের জরুরি সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই সেই মামলাগুলো উধাও হয়ে যায়। অপরদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ওই মামলাগুলো ব্যবহার করে অবর্ণনীয় নিপীড়ন চালানো হয়। আমরা অবিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App