×

মুক্তচিন্তা

চে গুয়েভারার রোসারিও থেকে ফুটবল বিপ্লবী মেসি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৭ এএম

চে গুয়েভারার রোসারিও থেকে ফুটবল বিপ্লবী মেসি

চে গুয়েভারার জন্ম আর্জেন্টিনার সান্তা ফে প্রদেশের রোসারিওতে ১৪ জুন ১৯২৮ সালে। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে তারুণ্যের স্বপ্নপুরুষ ছিলেন চে। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুর ২০ বছর পর জুন মাসেই রোসারিওতে জন্মগ্রহণ করেন ফুটবল মাঠ তোলপাড় করা অপর এক স্বপ্নপুরুষ লিওনেল মেসি। মেসির জন্ম ২৪ জুন ১৯৮৭, একটি ডুয়াল ইনকাম হাউস হোল্ডে- বাবা-মা দুজনই উপার্জন করেন। বাবা জর্জ মেসি ইস্পাত কারখানায় কাজ করতেন, মা পার্টটাইম ক্লিনার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী। পূর্বপুরুষ ইতালিয়ান। মেসির পুরো নাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। তার দুই ভাই রদ্রিগো মেসি এবং মাটিয়াস মেসিও ফুটবল খেলতেন। এক বোন মারিয়া সোল মেসি। ১১ বছর বয়সেই ধরা পড়ে তার পিটুইটারি গ্রন্থি ঠিকভাবে কাজ করে না, গ্রোথ হরমোন ঘাটতি থেকে যাচ্ছে তার। স্থানীয় বিখ্যাত ফুটবল দল রিভার প্লেট তাক লাগানো এই ফুটবলারটিকে পেতে আগ্রহী কিন্তু তার চিকিৎসা নিয়ে তাদের তেমন আগ্রহ নেই। চিকিৎসা ব্যয় মাসে ৯০০ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিবারের পক্ষে জোগান দেয়া সম্ভব নয়। এগিয়ে এলেন স্পেনের বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের পরিচালক চার্লস রেসাখ। তিনি খরচ জোগাতে এবং বার্সেলোনার হয়ে তাকে লালন করতে রাজি হলেন। বালকের খেলা দেখে মুগ্ধ এই জহুরি একটি ন্যাপাকিনের ওপর তার সঙ্গে চুক্তি করলেন- তাকে স্পেনে এসে আর্সেনালের ইয়োথ একাডেমিতে নাম নিবন্ধন করতে হবে এবং সেখানেই থাকতে হবে। কোচ ফ্রাঙ্ক রিকার্ড তার মধ্যে পেলেন অমিত সম্ভাবনা। মেসি তার কথা খুব স্মরণ করেন। বয়স তখন ১৮, প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে। বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবেই তাকে নামানো হলো ৯০ মিনিট খেলার ৬৩তম মিনিটে। আবার হাঙ্গেরি খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে গুঁতো দিয়েছেন এই অভিযোগে খেলা শেষ হওয়ার মাত্র দু’মিনিট আগে রেফারি তাকে মাঠ ছাড়া করল। বিব্রত মেসি সেদিন লকার রুমে এসে হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন। ২০০৫-০৬ সেশনে চেলসির বিরুদ্ধে খেলার সময় মাংসপেশীতে এমন টান পড়ে যে তার খেলা একেবারে ছেড়ে দেয়ার উপক্রম হয়। খবর শুনেই তার এক ভক্তের হার্ট অ্যাটাক হয়। মেসি সেরে উঠেন এবং ২০০৬ সালে সবচেয়ে কমবয়সি আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বকাপে খেলেন এবং গোল করেন। ২০০৬-০৭ সালে পৃথিবী বলতে শুরু করল মেসি হচ্ছে নয়া ম্যারাডোনা। ২০০৮-০৯ সেশনে রোনালদিনহো দল ছেড়ে গেলে মেসি তার ১০ নম্বর জার্সি তুলে নেন এবং ১০ নম্বর জার্সিকে গৌরবের জার্সিতে পরিণত করেন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ খেললেন এবং গোল্ডেন বলের জন্য মনোনীত হলেন। মেসি ২০১৪ এবং ২০১৮-র বিশ্বকাপ খেললেন। ২০২২-এর কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করলেন, নিজেও পেলেন গোল্ডেন বল। ফুটবলের শ্রেষ্ঠ কোনো পদক তার পাওয়ার বাকি নেই। এখন পেলে-ম্যারাডোনার সঙ্গে সমস্বরে উচ্চারিত হয় লিওনেল মেসির নাম। তিনি ৭ বার অর্জন করেছেন ব্যালন ডি’অর, ৬ বার পেয়েছেন ইউরোপের গোল্ডেন বুট, ২ বার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল আর ক্ষিপ্রতা ও দক্ষতার কারুকাজ দেখিয়ে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ। সবই তার অর্জন। শুধু গোল দেওয়া নয়, গোল সহায়তায়ও তার সমকক্ষ খেলোয়াড় দুর্লভ। ১৭ বছরের তরুণ মেসিকে দেখে ফুটবল বিশ্বের বিস্ময়ের কথা লিখেছিল ইউরোপের সব সংবাদপত্র। কয়েক বছর পর মেসি জানিয়ে দিয়েছেন তার সাফল্যের সূত্র : ‘আমি শুরু করি অনেক ভোরে শেষ করি রাতে- এভাবে দিনের পর দিন বছরের পর বছর কেটেছে আর এ ভাবেই রাতারাতি আমার খ্যাতি পেতে লেগেছে ১৭ বছর ১১৪ দিন।’ আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস থেকে প্রকাশিত ক্রীড়া দৈনিক ওলে ১৯৯৬ থেকে নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির প্রধান ফোকাস ফুটবল। আর্জেন্টিনার সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির দুই পর্বের ‘ওলে’ সাক্ষাৎকার ঈষৎ সংক্ষিপ্ত আকারে ভাষান্তরিত হচ্ছে। এটি মেসির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাক্ষাৎকার। ওলে : প্রথমবার ফুটবল খেলার কথা কি মনে পড়ে- শিশু হিসেবে প্রথম খেলা ৮ কিংবা ৯ বছর বছর বয়সে? মেসি : আমি যখন হাঁটতে শুরু করি তখন থেকেই আমার পায়ে বল, চার পাঁচ বছর বয়সে তো বটেই। আমার স্মৃতির প্রথম খেলাটা আমার ভাই ও কাজিনদের নিয়ে। খেলার জন্য তখন আমরা সবাই একত্রিত হতাম। ওলে : আপনার নানিকে (সিলিয়া মারিয়া কুকিত্তিনি) নিয়ে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। মেসি : কাহিনীটা তিনিও আমাকে বলেছেন। আমার ভাইদের একজন কিংবা কাজিনদের কেউ খেলত, আমরা প্রতিদিনই মাঠে যেতাম। কিন্তু বয়স ও আকারের ক্যাটাগরিতে ছোট হওয়ায় আমাদের সেখানে পাত্তা ছিল না। ১৯৮৬ সালের একটি দলে তাদের একজন খেলোয়াড় দরকার। আমার নানি গিয়ে কোচকে বললেন, ‘তাকে (লিও মেসি) দলে নাও।’ কোচ জবাব দেয়, ‘আমি তাকে দলে নিচ্ছি না, সে অনেক ছোট। তুমি কি পাগল হয়েছো, সে তো আঘাত পাবে।’ কিন্তু নানি তার কথার গুরুত্ব না দিয়ে বলে যায়, তাকে দলে নাও, তাকে দলে নাও।’ বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে নেওয়া হয়। (অপর একটি বর্ণনায় রয়েছে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ছোট মেসি প্রতিপক্ষের জালে ২টি বল ঢুকিয়ে দেন) খেলার পর আমার নানি এসে কোচকে বলেন, ‘ওকে ফুটবলের বুট কিনে দাও। আগামী সপ্তাহে আমি ওকে ফুটবল ট্রেনিং স্কুলে নিয়ে যাব’- এ ভাবেই আমার শুরু- সে এক বিস্ময়কর সময়। ওলে : আপনার প্রথম গোলটা কি মনে আছে? মেসি : ভিডিও দেখে মনে করেছি, প্রতিবেশী এলাকার একটি চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট। ওলে : ও থেকে বার্সেলোনা- ভ্যাকেশন ট্রিপটা কেমন ছিল? মেসি : রোসারিও থেকে আসতাম, আমি সবসময়ই কাঁদতাম। আমি সেখানেই ফিরে যেতে চাইতাম; সেখানে যা কিছু করতাম তাই অব্যাহত রাখতে চেয়েছি। কিন্তু আমি জানতাম একবার রোসারিও থেকে বেরিয়ে গেলে ফিরতে ফিরতে অন্তত ছয় মাস। আমি অনেক বন্ধু হারিয়েছে। তখন যোগাযোগ রক্ষা করা কঠিন ছিল। এখন তো ১৩/১৪ বছরের ছেলের হাতে সেল ফোন থাকে। তখন ছিল না। আর্জেন্টিনাতে যোগাযোগ করা ছিল আরো কঠিন। ফলে সম্পর্ক ঘুচে গেছে। দূরত্বের কারণে আমি অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। ওলে : শৈশবের কোন বন্ধুদের ছেড়ে এসেছেন? মেসি : আমার প্রতিবেশী ক’জন বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কটা এখনো রয়ে গেছে, ছোটবেলা থেকেই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক, অন্যদের সঙ্গে পুনঃস্থাপন করেছি, অনেক বছর পর কারো কারো সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওলে : তাদের কথা বলার সময় আপনার মুখাবয়ব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মেসি : আর্জেন্টিনায় আমার শৈশব ছিল বিস্ময়কর। সময়টা ছিল ভিন্ন, জীবনও ছিল অন্যরকম। আর্জেন্টিনার শিশুরা অন্য এক জীবনযাপন করত। এখনকার মতো অনেক কিছুই ছিল না। সে সময়টা আমি খুব উপভোগ করেছি। ওলে : আপনি যখন স্পেনে এলেন ছোট বালক, এখন তিন সন্তানের জনক, আপনার দৃঢ়বন্ধনের পরিবার। মেসি : আমার এই সৌভাগ্যের কথা বলতেই হয়। অনেক বাবা-মাকে খুব সকালে বেরিয়ে আসতে হয়, সারাদিন কাজ, ফিরতে হয় অনেক রাতে; আমার বেলাতে এক সময় তাই হয়েছে। সারাদিন কাজ, ক্লান্ত হয়ে রাত ন’টায় বাড়ি ফেরা। আমি ভাগ্যবান প্রায় সারাদিনই সন্তানদের সঙ্গে থাকি, স্কুলে নিয়ে যাই, স্কুল থেকে তুলে আনি, ফুটবল প্র্যাকটিস করতে নিয়ে আসি, আরো সব কর্মকাণ্ডে তাদের সঙ্গে থাকি। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তাদের সঙ্গে ঘুম থেকে ওঠা, এক সঙ্গে নাস্তা করা…। ওলে : অবশ্যই, দিনশেষে সুপারস্টার সেলিব্রিটি মেসি ঘরে ঢুকেই মাতিও, কিরো এবং থিয়াগোর বাবা। মেসি : আমিও তাই বলি। ওরা তিনজন রুটিন তৈরি করে। অন্তত আমাদেরটা তো করেই। আমি রুটিন পছন্দ করি, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই…সত্যিটা হচ্ছে আমরা তেমন বাইরেই যাই না। ওলে : বাচ্চারা কি জানে তাদের বাবা কে? মেসি : হ্যাঁ, থিয়াগো এবং মাতিও জানে। থিয়াগো ব্যাপারটা পছন্দ করে না, সে চায় না কেউ তাকে চিনুক, সে লাজুক, তার খারাপ সময় গেছে; আর মাতিও ঠিক উল্টো, কে তাকে চিনল, কী বলল এতে তার কিছুই এসে যায় না। ওলে : আপনার বাচ্চাদের বন্ধুর বাবা-মায়ের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা কেমন? মেসি : আমি একটি চমৎকার বাবা-মা গুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত। শুরুটা থিয়াগোকে দিয়ে। সে প্রথম স্কুলে যায়, তার বন্ধুদের এবং বন্ধুদের বাবা-মাদের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখন আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমিও তাদের মতোই একজন বাবা। ওলে : মেসি হওয়াটা কি ঝামেলার ব্যাপার? মেসি : বিশেষ করে বাইরে বেরোবার সময়। যেখানে অনেক মানুষ আছে, এমন কোথাও, কোনো শপিং সেন্টারে থাকাটা জটিল ব্যাপার। কিন্তু কখনো কখনো আপনি তো চাপহীন নিঃসঙ্গতা চাইতেও পারেন। এমন সময় আসে যখন আপনি ছবি তোলা, অটোগ্রাফ দেয়া নিয়ে মজে থাকতে চান না, তবুও করতে হয়। আবার মানুষ যখন আপনাকে চিনতে পারে আপনার সম্পর্কে ভালো কথা বলে সেটা ভালো লাগারই কথা। আমি বরং ভাগ্যবান। ওলে : আপনি কঠোর পরিশ্রম করা একটি পরিবার থেকে এসেছেন। কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে আপনাকে যেতে হয়েছে। মেসি : আমার বাবা সারাদিন কাজ করতেন। আমাদের কোনো কিছুর অভাব হোক চাইতেন না বলে তার দিনভর কাজ করতে হয়েছে- ওভারটাইম দিনের পর দিন, আমার কোনো কিছুর অভাব হয়নি। কিন্তু আমার বন্ধুদেরই কেউ কেউ পাশের বস্তিতে থাকত, বিদ্যুৎ নেই, পানির সরবরাহ নেই, খাবারেরও অভাব, আমি এসব প্রত্যক্ষ করেছি। ওলে : আপনি এত কম বয়সে আর্জেন্টিনা ছেড়ে এসেও ‘আর্জেন্টাইন চরিত্র’ কেমন করে ধরে রেখেছেন? মেসি : তা ঠিক জানি না। যদিও অনেক কম বয়সে এসেছি, আমি কখনো আর্জেন্টিনা ছেড়ে আসিনি। আমার যা কিছু ঘটেছে তার সবই আর্জেন্টিনার সঙ্গে সম্পৃক্ত; আমার পরিবার আমার বন্ধুবান্ধব সবাই সেখানে। ওলে : সেখানকার কী আপনার পছন্দ? কেন আপনাকে ফিরে যেতে হয়? মেসি : কেমন করে ব্যাখ্যা করব জানি না। আমি রোসারিও ফিরে যেতে আমার প্রিয় মানুষদের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসি… যতবার সেখানে ফিরে যাই, সময়টা অল্প, খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ওলে : আরোয়ো সেকোর বাড়ি কি আপনাকে টেনে রাখে? মেসি : আমার পরিবার, আমার বন্ধু-স্বজন, (আমার স্ত্রী) আন্তোনলার পরিবার ও স্বজনরাও সেখানে। এখানে এলে আমার শৈশবের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করতে পারি। আমার প্রতিবেশী অঞ্চল ও শহরের অনেক স্মৃতি এখানে- রোসারিওতে থাকার মানে সেসব স্মৃতি টেনে আনা। ওলে : রোসারিও নিয়ে যে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করিনি; আপনি ছাত্র হিসেবে কেমন ছিলেন? মেসি : সত্য কথা হচ্ছে পড়াশোনা আমি পছন্দ করিনি, এটা আমার জন্য কঠিন ছিল। তবে আমার আচরণ ভালো ছিল। প্রশ্ন : আপনি কি সেখানে সেভেন্থ গ্রেড শেষ করেছিলেন? মেসি : হ্যাঁ। প্রশ্ন : হাইস্কুলের পর এখানে (স্পেনে) কি পড়াশোনা চালিয়েছেন? মেসি : আমি স্পেনেই হাই স্কুলে পড়েছি। কিন্তু আমি মনোযোগ দিইনি- এটা আমার জন্য কঠিন ছিল। প্রশ্ন : বন্ধুদের সঙ্গে কী নিয়ে কথা বলেন? মেসি : যে কোনো বিষয়; বন্ধুত্বের সম্পর্কের মতো যত ধরনের কথা হতে পারে সব। ফুটবল নিয়ে, জীবন নিয়ে, আশপাশে পৃথিবীতে যা কিছু ঘটছে সব নিয়ে আমরা কথা বলি। ওলে : তারা যখন দৈনন্দিন সমস্যার কথা বলে, স্পেন কিংবা আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষের সমস্যা আপনার ওপর কেমন প্রভাব বিস্তার করে? মেসি : ভীষণ। বিশেষ করে তারা যখন আমার বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষ হয়। চারদিকে অনেক দারিদ্র্য- এটা আমার জন্য যন্ত্রণাদায়ক। ওলে : নিজের শার্ট ও অন্যান্য কাপড় কি নিজেই পছন্দ করেন? মেসি : আন্তোনলাও আমার জন্য পছন্দ করে। অবশ্য আমার পোশাকের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ নেই, সাদামাটা একটা হলেই চলে। ওলে : প্রযুক্তির সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত? ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম? মেসি : অন্যদের মতো। ফোনে সারাক্ষণই থাকি বলা যায়। অন্য কোনো প্রযুক্তি নয়। ওলে : ফুটবল দেখেন? মেসি : প্রচুর। বিভিন্ন লিগ। অনুসরণ করি, খোঁজ-খবর রাখি। আমার পরিবার আমার প্রথম আবেগ, তারপরই ফুটবল।

একটি পাদটীকা : মেসি দ্য গোট বাংলাদেশে কোনো সেলিব্রিটির নামের সঙ্গে গোট যুক্ত করা হলে মানহানির মামলা ঠেকানো মুশকিল হবে। কিন্তু মেসি দ্য গোট লেখা হওয়ার পর তিনি সত্যিই কাঁধের ওপর ছাগল নিয়ে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছেন। কারণ তিনি জানেন গোট (এঙঅঞ) হচ্ছে গ্রেটেস্ট অব অল টাইম। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ।

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App