×

সম্পাদকীয়

আবারো করোনা বাড়ছে : সতর্ক হোন, স্বাস্থ্যবিধি মানুন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৬ এএম

আবারো করোনা বাড়ছে : সতর্ক হোন, স্বাস্থ্যবিধি মানুন

নতুন করে করোনা বাড়ার খবর আসছে। চীনে বেশি বাড়ছে। চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য বাংলাদেশের সব বন্দরে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএফ ৭’ ঠেকাতে বিমানবন্দরসহ সব ধরনের বন্দরে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টে বাংলাদেশের মানুষের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। করোনার এই নতুন ধরন নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশকে সতর্ক হতে হবে এখন থেকেই। পাশাপাশি দেশের জনগণের দায় রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাংলাদেশে করোনা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৩৯ জন। আর মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭ জন। দেশে করোনা প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই একদিনে দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মারা যান, যা মহামারির মধ্যে একদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা। বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির দেশে করোনার মতো দীর্ঘস্থায়ী মহামারি মোকাবিলা করা সহজ কাজ নয়। একদিকে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, অন্যদিকে জীবিকা রক্ষার চেষ্টা করা- সব মিলিয়ে যে কোনো সরকারের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এরপরও আমরা বড় ট্র্যাজেডি এড়াতে পেরেছি। কারণ অনেক দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা এ পর্যন্ত সংক্রমণ মোকাবিলায় অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। তবে নতুন ধরন নিয়ে অবহেলা করার সুযোগ নেই। করোনা চিকিৎসায় যেসব হাসপাতাল খোলা হয়েছিল, সেগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে হাসপাতালগুলো চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সময় রাজধানীতে পাঁচটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে আলাদা ইউনিট ছিল। পরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সেগুলোতে সাধারণ রোগীর সেবা চালু হয়। ফলে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসিইউ, এইচডিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাক্সবন্দি করা হয়েছে। শুধু মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল রোগীদের সেবার জন্য কিছুটা প্রস্তুত হয়েছে। বাকিগুলোর অবস্থা করুণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে- মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি টিকা নেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। করোনার সংক্রমণ কমে গেলে আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে যে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ভাইরাসটি নিয়ে বেশি আতঙ্কিত না হয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বিশ্বের আক্রান্ত অন্যান্য জায়গা থেকেও যারা আসবে তাদের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোভাবেই স্ক্রিনিং ছাড়া যেন আক্রান্ত দেশের কোনো ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App